অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস’র হাতে যেসব দপ্তর আছে, সেসব দপ্তরের সচিবদের বৈঠকে ১২টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সোমবার (১২ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় নিজের হাতে থাকা ২৫ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও সচিবদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে সিদ্ধান্তগুলোর বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়। বৈঠকে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো হলো-
১) তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।
২) মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও দপ্তরসমূহকে দ্রুত ফাংশনাল করতে হবে।
৩) প্রত্যেক মন্ত্রণালয়/বিভাগ অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে কাজ করবে।
৪) স্বচ্ছতা ও সংবেদনশীলতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
৫) জরুরি সরবরাহসমূহ নিশ্চিত করতে হবে।
৬) বন্দর ও রেলের কার্যক্রম দ্রুত চালু করতে হবে।
৭) সার, জ্বালানি, বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে হবে।
৮) কৃষি উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
৯) শুধু জরুরি প্রয়োজনে দপ্তর প্রধান ব্যতীত অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী বদলি/পদায়ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর থেকে করা যাবে।
১০) জরুরি প্রয়োজনে চিকিৎসার জন্য বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া যাবে।
১১) প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মাননীয় উপদেষ্টা বরাবর আনঅফিসিয়াল নোট পাঠানো যাবে।
১২) প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালা/নির্দেশনা যথাযথভাবে প্রণয়ন ও জারি করা যাবে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের হাতে যেসব দপ্তর আছে, সেগুলো হলো- মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ; প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়; সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ; শিক্ষা মন্ত্রণালয়; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়; খাদ্য মন্ত্রণালয়; গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়; ভূমি মন্ত্রণালয়; বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়; কৃষি মন্ত্রণালয়; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; রেলপথ মন্ত্রণালয়; জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়; নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়; পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়; মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়; তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়; প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; বাণিজ্য মন্ত্রণালয়; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়; বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়; মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।