1. news@panchakhandaeye.com : পঞ্চখণ্ড আই : পঞ্চখণ্ড আই
  2. info@www.panchakhandaeye.com : পঞ্চখণ্ড আই :
শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
দাবদাহে হাঁসফাঁস জনজীবন: সচেতন থাকুন, নিরাপদে থাকুন গোলাবশাহ যুব সংঘের দুই দিনের দুই ব্যতিক্রমী কর্মসূচি স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকে ড. ইউনূসকে না বলল যুক্তরাজ্য সরকার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নয়, কার্যক্রম স্থগিত : লন্ডনে চ্যাথাম হাউসে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস শিক্ষক নিয়োগে বড় পরিবর্তন : প্রিলিমিনারি পরীক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে! জনগণের পাশে সেনাবাহিনী : নীরব প্রচেষ্টার অনন্য বার্তা প্রতিটি নাগরিকই সীমান্তরক্ষী: আতাউর রহমান বিয়ানীবাজারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করলেন এডভোকেট জাহিদুর রহমান ড. ইউনূসের সরকারি সফর ঘিরে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক উত্তাপ হুইলচেয়ারে ফেরার যাত্রা: চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

সাংবাদিক তুরাব নিহতের ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানায়অভিযোগ দায়ের

পঞ্চখণ্ড আই ডেস্ক
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০২৪
  • ২০৬ বার পড়া হয়েছে

পঞ্চখণ্ড আই ডেস্ক : কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই শুক্রবার জুমার নামাজের পর সিলেট নগরীর বন্দরবাজারে গুলিবিদ্ধ হন তুরাব। পরে ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় মারা যান তিনি। নিহত তুরাব দৈনিক নয়া দিগন্তের জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক জালালাবাদের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। তাঁর বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌরসভার ফতেহপুর গ্রামে।

সাংবাদিক এটিএম তুরাব নিহতের ঘটনায় ২৪ জুলাই, বুধবার রাতে এসএমপির কোতোয়ালী মডেল থানায় সিলেটের সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে এজাহার দাখিল করেন নিহত সাংবাদিক তুরাবের বড় ভাই আবুল হাসান মো: আজরফ (জাবুর আহমদ)। দায়েরকৃত এজাহার কপি গ্রহণ করেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ ও কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন শিপন।

নিহত সাংবাদিক তুরাবের বড় ভাই লিখিত এজাহারে উল্লেখ করেন, গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) বেলা ১ টা ৫৫ মিনিটের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য কোর্টপয়েন্টে অবস্থান করেন তুরাব। এক পর্যায়ে জুম্মার নামাজের পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মিছিল শুরু করলে তুরাব মিছিলের পিছনে অন্যান্য সহকর্মীসহ অবস্থান নেয়। মিছিলটি পুরানলেন গলির মুখে পৌঁছলে সশস্ত্র পুলিশ বিপরীত দিক থেকে অবস্থান নেয়। ঐ মুহুর্তে হঠাৎ লাগাতার গুলিবর্ষণের শব্দ শুনে তখন আমার ভাই তুরাব বলে আমাকে বাচাঁও আমাকে মেরে ফেলছে। আমার চোখে মুখে গুলি লেগেছে। একথা বলেই সে মটিতে লুঠিয়ে পড়ে প্রায় অজ্ঞান হয়ে যায়। তখন স্বাক্ষী ও পথচারীরা একটি সিএনজিতে (অটোরিক্সায়) তুলে ওসমানী মেডিকেল কলেজে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে কর্তব্যরত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোবহানীঘাট ইবনে সিনা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। উক্ত হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি কিন্তু অত্যাধিক গুলির কারণে ডাক্তাররা আপ্রাণ চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারেন নাই। এমতাবস্থায় চিকিৎসারত অবস্থায় ঐদিন সন্ধা ৬টা ৪৪ মিনিটের সময় সে মৃত্যুবরণ করে। গুলাগুলির স্থিরচিত্র ও ভিডিও চিত্র কর্তব্যরত সাংবাদিকদের কাছে রয়েছে। তদন্তকালে আমরা তা উপস্থাপন করবো। আমি আমার ভাইয়ের দাফন কাপনসহ অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকায় এবং সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শ করে এজাহার দায়ের করিতে কিছুটা বিলম্ব হয়।

এজাহারে সাংবাদিক আবু তাহের মোঃ তুরাবের খুনীদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক আইনানুগ শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।

এজহার দায়েরকালে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী, ওভারসীজ করেসপনডেন্ট এসোসিয়েশন সিলেট (ওকাস) এর সভাপতি ও সিলেট প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি খালেদ আহমদ, দৈনিক প্রভাতবেলা সম্পাদক ও সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক কোষাধ্যক্ষ কবির আহমদ সোহেল, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির লিটন, সাংবাদিক দিগেন সিংহ, মুনশি ইকবাল, এমজেএইচ জামিল, শাকিলা ববি, গোলজার আহমদ হেলাল, আবুল হোসেন, ফটো সাংবাদিক রেজা রুবেল, মামুন হোসেন, তামান্না আহমদ রত্না, আজমল হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও রেজাউল করিম সোহেল প্রমূখ।

এদিনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার জাকির হোসেন খান বলেন, “‌কী কারণে এবং কিভাবে সাংবাদিক তুরাব নিহত হয়েছেন তার তদন্ত চলছে। ময়না তদন্ত হয়েছে। ময়নাতদন্ত ও তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Leave a Reply

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট