আতাউর রহমান:
আওয়ামী সরকার পতন (৫ আগস্ট) পরবর্তী দেশের চলমান পরিস্থিতিতে বিয়ানীবাজারবাসীর জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও সম্প্রীতির বন্ধন তৈরিতে সামাজিক পদক্ষেপ এবং উপজেলা প্রশাসনের দপ্তরসমুহ ভাংচুর, থানার অস্ত্র ও গুলি লুটসহ অগ্নিসংযোগ ঘটনার ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্তের দাবিতে বিয়ানীবাজার উপজেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা পুলিশ প্রশাসনসহ রাজনৈতিক দল বিএনপি, জামাতে ইসলামী বাংলাদেশ’র সাথে পৃথক পৃথক মত বিনিময় সভায় মিলিত হন।
মতবিনিময়কালে পুলিশের গুলিতে নিহত তারেক হত্যা মামলায় বিয়ানীবাজারের পাঁচজন সাংবাদিককে সম্পৃক্ত করায় সাংবাদিকেরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। একইসাথে বিয়ানীবাজার থানার নবাগত ওসি অকিল উদ্দিন আহমদ এর নিকট প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ তদন্ত সাপেক্ষে সাংবাদিকদের নাম চার্জশিট থেকে কর্তনের দাবী জানিয়েছেন। একইসাথে সংঘটিত ঘটনায় প্রকৃত দায়ীদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে তদন্ত কাজে ফুটেজ সরবরাহসহ সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করেন।
Πজামাতে ইসলামী বাংলাদেশ’র সাথে মতবিনিময়:
আজ রোববার (২৫ আগস্ট) বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাব কার্যালয়ে জামাতে ইসলামী বাংলাদেশ দলের নেতৃবৃন্দের সাথে বিকেল তিন ঘটিকায় উল্লেখিত পরিস্থিতি বিষয়ে সাংবাদিকদের আহুত মতবিনিময় সভায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. ফয়জুল ইসলাম, সাবেক নায়েব আমীর ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের, বর্তমান নায়েব আমীর মোস্তফা উদ্দিন, পৌর জামাতের আমীর কাজী জমীর হোসাইন, লাউতা ইউপি চেয়ারম্যান মো: দেলোওয়ার হোসেন ও জামেয়া ইসলামিয়ার প্রিন্সিপাল মো. রুকন উদ্দিন প্রমুখ।
এ সময় উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা ফয়জুল ইসলাম জানান, অতীতের রাজনৈতিক সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশ গত সরকারের সময়ে নষ্ট করা হয়েছে। দেশে কোন গণতান্ত্রিক পরিবেশ ছিলনা। ছাত্র-জনতার অভ্যূথ্থানের মধ্য দিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ ফিরে পেয়েছেন দেশের মানুষ। এই বাংলাদেশকে নতুন করে সাজাতে হবে। তিনি বলেন, আমরাও রাজনীতির সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ চাই। অস্ত্রমুক্ত ও মাদকমুক্ত বিয়ানীবাজার চাই। খুনের মামলা দায়েরের সাথে আমাদের দলের সম্পৃক্ততা নেই। মামলা হতে সাংবাদিকদের নাম প্রত্যাহারে আমাদের অকুণ্ঠ সমর্থন থাকবে- ইনশা আল্লাহ।
Π বিয়ানীবাজার বিএনপির একাংশের মতবিনিময়:
আজ রোব্বার একই প্রসঙ্গে বিকেল ৫টায় জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির একাংশের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নজমুল হোসেন পুতুল, সিলেট জেলা বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিক আহমদ, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক আবু নাসের পিন্টু, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুছ ছবুর।নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিকদের মামলায় জড়ানোর সাথে আমাদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। বিয়ানীবাজারের সম্প্রীতি রক্ষায় আমরা বদ্ধপরিকর। কলম সৈনিকদের সহায়তায় বিয়ানীবাজারকে সামাজিক বন্ধনের পরিবার হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নজমুল হোসেন পুতুল বলেন, রাজনৈতিক দর্শনে কল্যাণমুখি আদর্শ থাকতে হবে। আর এই কল্যাণ কেবল রাজনৈতিক নেতাদের ধারা সহজ হবেনা। দেশের সকল পেশার মানুষ দেশপ্রেমে উদ্বুদ হলে বাংলাদেশ বৈষম্যহীন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হবে। তিনি আরোও বলেন, বিএনপি প্রতিহিংসায় বিশ্বাস করেনা। আমরা কাউকে প্রতিহিংসার শিকার হতে দেব না। এ সময় সাংবাদিকদের উপর দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহারেও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
এ সভায় বিএনপি নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরোও উপস্থিত ছিলেন সহ-স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক এনাম উদ্দিন, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক নজমুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক তাজ উদ্দিন কুটি, প্রচার সম্পাদক হোসেন আহমদ হুসু, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক সেলিম উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান, পৌর বিএনপি নেতা গুলজার আহমদ রাহেল, যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আক্তার হোসেন অনিক ও বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান।
Π উপজেলা বিএনপি’র সাথে মতবিনিময় :
এদিকে গতকাল (২৪ আগস্ট) জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির বিয়ানীবাজার উপজেলার সভাপতি এডভোকেট আহমদ রেজা ও সাধারণ সম্পাদক ছরওয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে দলের নেতাকর্মীদের সাথে পৃথক মতবিনিময় সভা হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি কবির আহমদ, সহ-সভাপতি আতাউর রহমান কটন, সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি বেলাল আহমদ শুক্কুর, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল আহমদ ও কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।
বিএনপি নেতৃবৃন্দ সকলেই সাংবাদিক-রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্কের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন। বিএনপি নেতৃবৃন্দ সম্প্রতি বিয়ানীবাজারের ৫ জন সাংবাদিককে মিথ্যা মামলা থেকে নাম কর্তনে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
২৪ আগস্ট বাদ মাগরিব বিয়ানীবাজার থানার নবাগত ওসি অকিল উদ্দিন আহমদ এর কার্যালয়ে তাঁর সাথে বিয়ানীবাজার উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রেসক্লাবের নেতৃত্বে উপজেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ৫ সাংবাদিক ছাদেক আহমদ আজাদ, আব্দুল ওয়াদুদ, সজীব ভট্টাচার্য্য, মিসবাহ উদ্দিন ও মহসিন আহমদ রনি-র নাম তদন্ত সাপেক্ষে চার্জশিট থেকে কর্তনের পদক্ষেপ গ্রহন এবং প্রকৃত দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবী জানানো হয়।
এ সময় সিলেটের বিয়ানীবাজার থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অকিল উদ্দিন আহমদ বলেন, অপরাধ নির্মূলে মানুষকে সচেতন করতে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম। তিনি আরও জানান, তার প্রথম কাজ পুলিশের উপর মানুষের হারানো আস্থা ফিরিয়ে আনা। সাংবাদিকদের বিষয়টিও তিনি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন বলে জানান।
পুলিশ কর্মকর্তার সাথে মতবিনিময়কালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাব’র সাবেক সভাপতি ও দাসউরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আতাউর রহমান, সিনিয়র সহ সভাপতি এম হাসানুল হক উজ্জ্বল, ইত্তেফাক প্রতিনিধি ও সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল খালিক, সহ-সভাপতি হাসান শাহরিয়ার, সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক শাহীন আলম হৃদয় ও মাসুম আহমদ, কোষাধ্যক্ষ মুকিত মোহাম্মদ, প্রেসক্লাব সদস্য ও দিনকাল প্রতিনিধি মো: জহির উদ্দিন, সদস্য আবুল হাসান, কুড়ার বাজার কলেজের প্রভাষক বিজিত আচার্য, আমার সংবাদ প্রতিনিধি জসীম উদ্দিন, সংগ্রাম প্রতিনিধি আব্দুল হামিদ, এসআরআই টিভির সাকের আহমদ, দিবালোক’র স্টাফ রিপোর্টার ইমাম হাসনাত সাজু, বিয়ানীবাজার জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ ওমর, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক দিলু, এসআরআই টিভির রুহেল আহমদ প্রমুখ।
Π মামলা দায়ের করা বাদীনি দু’টানায়:
আওয়ামী সরকার পতনের দিনে বিয়ানীবাজার থানা চত্ত্বরে প্রকাশ্যে পুলিশের গুলিতে নিহত তারেকের মা ইনারুন নেছা গত ২০ আগস্ট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পাঁচ সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদ উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব, সদস্য সাবেক পৌর মেয়র ফারুকুল হক, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জামাল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল-সহ ৭৫ জনকে আসামী করা হয়। এ মামলায় দৈনিক সিলেটের ডাক এর স্টাফ রিপোর্টার ও সাপ্তাহিক বিয়ানীবাজার বার্তা পত্রিকার সম্পাদক ছাদেক আহমদ আজাদ, সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল ওয়াদুদ, সজীব ভট্টাচার্য্য, মিসবাহ উদ্দিন ও মহসিন আহমদ রনি-সহ ২শ’ জনকে এজহারে আসামীভুক্ত করা হয়।
এ মামলার প্রেক্ষিতে গত ২২ আগস্ট বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে বলেন, সাংবাদিকদের দৃঢ়তা ও লিখনির কারণেই ছাত্রজনতার জয় হয়েছে। এমনি প্রেক্ষাপটে তারেক হত্যা মামলায় সাংবাদিকদের নাম সম্পৃক্ত করা আইনসম্মত ও যুক্তিযুক্ত হয়নি। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আনা হত্যার অভিযোগ যথাযথ আইনী প্রক্রিয়ায় তদন্তের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার জন্য তাঁরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
এদিকে বাদীনি ইনারুন নেছা মামলা দায়েরের দু’দিন পর (২২ আগস্ট) সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতে মামলা নিষ্পত্তির আবেদন করেছেন। তিনি লিখিত আবেদনে জানান, “মামলার আসামীরা আমার পূর্ব পরিচিত। তারা এ মামলার ঘটনার সাথে জড়িত নয়। একদল লোক আসিয়া মৃত ছেলের জন্য সাহায্য চাইয়া দরখাস্ত দেওয়ার নাম করিয়া দস্তখত নিয়া যান। পরে অহেতুক এই মামলা দায়ের করে। আমি এ মামলা পরিচালনা করিব না। সমূহ আসামীগণ আমার দ্বারা কোন আসামী নয়।” মামলার বাদি হত্যা মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য মাননীয় আদালতের মর্জি কামনা করেন।
মামলার বাদীনির দু’টানা অবস্থা দেখে জনসাধারণের কাছে প্রশ্ন, ঘটনার দিনের পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের বাঁচাতে এ মামলা দায়েরের পেছনে কারা কলকাঠি নাড়ছেন।
এ খুনের মামলা দায়েরের প্রেক্ষিতে গত ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের অনুষ্ঠিত সভায় মামলা থেকে সাংবাদিকদের নাম প্রত্যাহারসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্তসমুহ গৃহীত হয়। এই সিদ্ধান্তক্রমে পরবর্তীতে সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি এম. হাসানুল হক উজ্জ্বলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলামের পরিচালনায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসব সভার স্টিয়ারিং কার্যক্রমে সাংবাদিকদের অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট আতাউর রহমান।
অনষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইত্তেফাক প্রতিনিধি ও সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল খালিক, সহ-সভাপতি হাসান শাহরিয়ার, যুগ্ম সম্পাদক শাহীন আলম হৃদয় ও মাসুম আহমদ, কোষাধ্যক্ষ মুকিত মুহাম্মদ, সদস্য আবুল হাসান, কুড়ার বাজার কলেজের প্রভাষক বিজিত আচার্য, সংগ্রাম প্রতিনিধি মুহাম্মদ আব্দুল হামিদ, আগামী প্রজন্ম’র ক্রীড়া সম্পাদক ইকবাল হোসেন, ম্যাপ টিভির সিইও আমাদের সময় প্রতিনিধি সামিয়ান হাসান, আমার সংবাদ প্রতিনিধি জসীম উদ্দিন, দিবালোক’র স্টাফ রিপোর্টার ইমাম হাসনাত সাজু, বিয়ানীবাজার জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ ওমর, সহ-সভাপতি সাদিক হোসেন এপলু, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক দিলু, আগামী প্রজন্ম’র স্টাফ রিপোর্টার ছাবির খান, বিয়ানীবাজার টিভির আহমদ এহসানুল কাদির, সিলেট ভিউ ২৪ ডটকম-এর হাফিজুর রহমান, ম্যাপ টিভির মুশফাকুর রহমান, সাংবাদিক আলম শাওন, সাংবাদিক আব্দুল করিম প্রমুখ।
প্রাপ্ত সূত্রমতে, গত ৫ এপ্রিল সরকার পতনের দিন বিভিন্ন সময়ে পৌরশহরে আওয়ামী ঘরানার নেতাকর্মীর অফিস, দোকান ভাংচুর, উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয় ভাংচুর, থানার অস্ত্র ও গুলি লুট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বিকেলে জনতা থানা আক্রমণ করলে পুলিশ জনতাকে লক্ষ করে গুলি ছুঁড়ে। এ সময় পুলিশের গুলিতে স্থানীয় নিদনপুর গ্রামের তারেক আহমদসহ (২৪) তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ এবং মিডিয়ায় প্রচারিত হয়। ঘটনার দিনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীর হাজার হাজার নেতাকর্মীরা দফায় দফায় আনন্দ মিছিল করেন। এ দিনে আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বিয়ানীবাজার পৌরশহরে দেখা যায়নি।
জনমনে গুঞ্জন, থানার অফিসার ইনচার্জ দেবদুলাল ধর নিজ দায় সরাতে বিএনপি ঘরানার দায়িত্বশীল ক’জন নেতার যোগসাজশে ও প্ররোচনায় এ মিথ্যা মামলা দায়ের করে শান্ত বিয়ানীবাজারের সম্প্রীতি ভাঙ্গনের অভিযোগ উঠেছে। এ প্রসঙ্গে বিয়ানীবাজার থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ দেবদুলাল ধর-কে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এ মামলার নেপথ্যে কারা রয়েছেন, তাদের পরিচয় নিশ্চয়ই বেরিয়ে আসবে।