বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘যে সমস্ত যুবসমাজ বৈষম্য থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য বুক উঁচিয়ে যুদ্ধ করেছেন সেই ছাত্র-যুবসমাজের যে প্রত্যাশা, এ দেশের ১৮ কোটি মানুষের যে প্রত্যাশা, আমাদের দলেরই একই প্রত্যাশা। আমাদের প্রত্যাশা দেশে ইনসাব কায়েম, বৈষম্য দূর ও মানুষের ন্যায্য অধিকার সুনিশ্চিত করা।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেছেন, ‘আমরা আমূল সংস্কার প্রত্যাশা করি। সংস্কারের যুদ্ধ শুরু হয়েছে কিন্তু এটি শেষ হয়নি। এই যুদ্ধে আমরা আছি এবং ইনশাআল্লাহ থাকব।’
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে সিলেটে পুলিশের গুলিতে নিহত সাংবাদিক এ টি এম তুরাব’র শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা উচ্চারণ করেন।
আজ শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে বিয়ানীবাজার নাগরিক কমিটির সভাপতি মাওলানা ফয়জুল ইসলামের সভাপতিত্বে শোকসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারি সেক্রেটারী এড. এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
এছাড়াও শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর সৈয়দ আবু কয়ছর, মোস্তফা উদ্দিন, সেক্রেটারী কাজী আবুল কাশেম, পৌর আমীর কাজী জমির হোসাইন, বড়লেখার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এমাদুল ইসলাম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের, চেয়ারম্যান দেলোওয়ার হোসেন, চেয়ারম্যান ফরিদ আহমদ, এডভোকেট আসাদ উদ্দিন, জামায়াত নেতা আব্দুল হামিদ, কাউন্সিলার হাফিজ এমাদ আহমদ প্রমুখ।
ডা. শফিকুর রহমান নিহত সাংবাদিক তুরাবে’র কবর জিয়ারতে বিয়ানীবাজারস্থ ফতেহপুরের গ্রামের বাড়িতে যান এবং শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাতসহ শোকসন্তপ্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এদিকে সাংবাদিক তুরাবর শোকসভায় তাঁর হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম ও প্রচার সম্পাদক আব্দুল খালিক।