পঞ্চখণ্ড আই প্রতিবেদক : সকল জল্পনা কল্পনা ও আভ্যন্তরীণ জটিলতা কাটিয়ে নির্বাচনের ৫২দিন পর কুড়ারবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির ‘সভাপতি’ নির্বাচিত হলেন ভিপি হোসেন আহমদ। নির্বাচিত সভাপতির গ্রামের বাড়ি কুড়ারবাজার ইউনিয়নের আকাখাজনা গ্রামে। তিনি বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজ এর ভিপি ছিলেন।
আজ ১১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) তৃতীয় দফার বৈঠকে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসার মো: আরিফুর রহমান-এর সভাপতিত্বে কুড়ারবাজার দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মো: হোসেন আহমদ। এদিকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীগন রয়েছেন বেতন উত্তোলনের সংকটে।
গত ১৯ মে ২০২৪খ্রি. বিয়ানীবাজার উপজেলার কুড়ারবাজার দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী সাধারন অভিভাবক সদস্য পদে মোঃ আবু কাওছার, আব্দুল মুকিত, আব্দুল হামিদ, দেলওয়ার হোসেন ও সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক পদে জুলফা বেগম, সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি পদে মো: ইনাম আহমদ (সহকারী শিক্ষক) ও মো: ফরহাদ আলম (সহকারী শিক্ষক), সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি পদে লাকি আক্তার খাতুন(গ্রন্থাকারিক) এবং দাতা সদস্য পদে মো: জিয়া উদ্দিন আহমদ নির্বাচিত হন।
ম্যানেজিং কমিটি বিধিমালা-২০২৪ এর ১৩ প্রবিধান অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটির বিভিন্ন ক্যাটাগরির সদস্য পদের নির্বাচন সম্পন্ন হইবার অনধিক ৭ (সাত) দিনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি (এইচএসসি পাশ) নির্বাচনের উদ্দেশ্যে, ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচিত সদস্যগণের একটি সভা আহ্বান করিবেন। সভাপতি নির্বাচনে নির্বাচিত সদস্যগণের ন্যূনতম দুই- তৃতীয়াংশের উপস্থিতি নিশ্চিত করার বিধান রয়েছে।
এদিকে পূর্ব থেকেই সভাপতি নির্বাচনে সদস্যদের মাঝে বিভক্তি দেখা দেয়ায় কুড়ারবাজার দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করীম এর সভাপতি নির্বাচনের উদ্দেশ্যে আহবানকৃত প্রথম বৈঠক (গত ২২মে, বুধবার) কোরাম সংকটে মুলতবি হয়ে যায়। ঐ সভায় নির্বাচিত ৪ জন অভিভাবক সদস্য ও প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম ছাড়া আর কেউ সভায় উপস্থিত হননি।
দ্বিতীয় দফায় গত ২৫মে (শনিবার) সভাপতি নির্বাচনের উদ্দেশ্যে বৈঠক ডাকেন প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম। ঐ বৈঠকে দাতা সদস্য ব্যতীত সবাই উপস্থিত হলেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় ম্যানেজিং কমিটি বিধিমালা-২০২৪ এর ১৩ প্রবিধানমালা। প্রধান শিক্ষক সভাপতি ক্যাটাগরির ব্যাখ্যা না দেয়ায় উপস্থিত ৪ জন অভিভাবক ব্যতীত বাকি সদস্যগণ ভোটদানে বিরত থাকেন। ফলে চার জনের কণ্ঠভোটে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জনৈক করণিককে সভাপতি পদে নির্বাচন করে অনুমোদনের জন্য শিক্ষা বোর্ডে প্রেরণ করা হয়। ফলে প্রবিধানমালা লঙ্ঘনের দায়ে শিক্ষা বোর্ড কতৃক পুনরায় সভাপতি নির্বাচনের জন্য পত্র প্রেরণ করিলে আজ ১১ জুলাই তৃতীয় দফার বৈঠক আহবান করেন প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম ।
এ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, এখন তথ্য দেয়া যাচ্ছে না, খসড়া লিখে রেখেছি, রেজুলেশন বহিতে লিপিবদ্ধ হয়নি। এ প্রসঙ্গে প্রিসাইডিং অফিসার মো: আরিফুর রহমান এর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, “এখানে তথ্য লুকানোর কি আছে। আমি সভাপতি নির্বাচন যথাযথভাবে সম্পন্ন করে রেজুলেশন খাতায় প্রিজাইডিং স্বাক্ষর করে অফিসে ফিরেছি।”