আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের লোকসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ২৪২টি আসনে জয় পেয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস পেয়েছে ৯৮টি আসন। সমাজবাদী দল ও তৃণমূলসহ অন্যান্য দলগুলো জয় পেয়েছে ২০১ আসনে।
লোকসভার মোট আসন ৫৪৩টি। এবার লোকসভা নির্বাচন হয়েছে সাত দফায়। গত ১৯ এপ্রিল শুরু হওয়া নির্বাচন শেষ হয় ১ জুন। মঙ্গলবার সকালে শুরু হয় ভোট গণনা।
ভোট গণনা শেষে মঙ্গলবার (০৪ জুন) বিকালে বেসরকারিভাবে পাওয়া ফলাফলে দেখা গেছে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটভিত্তিক আসনে এগিয়ে থাকলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি নরেন্দ্র মোদির দল।
‘আব কি বার, ৪০০ পার’ এই স্লোগান দিয়ে নির্বাচনি প্রচার শুরু করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপির দাবি ছিলো তারা এবার চারশোর বেশি আসনে জয় পাবে। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি হয়ে গেছে। মোদি ম্যাজিকে নেমেছে ধস! ৪০০ পার করা দূরে থাক, ১০ বছর পর নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতাই হারালো দলটি।
প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে আড়াই’শ আসনও পায়নি বিজেপি। সকাল থেকে ভোট গণনা শুরুর পরই পাল্টে যেতে থাকে সব সমীকরণ। বিজেপির এমন অবনতির বিশ্লেষণও শুরু হয়ে গেছে ইতোমধ্যে।
ভারতে সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৭২ আসন। বিজেপি এককভাবে এই সংখ্যক আসন না পাওয়ায় সরকার গড়তে জোটের সহায়তা নিতে হবে দলটির।
মোদিকে এখন নির্ভর করতে হবে এনডিএ-র দুই শরিক নেতা, চন্দ্রবাবু নায়ডু, নীতীশ কুমারের ওপর। ঘটনাচক্রে, অতীতে ওই দুই নেতারই একাধিক বার এনডিএ ত্যাগের ইতিহাস রয়েছে।
এদিকে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় এক দশক পর একদলীয় শাসনের ইতি হতে যাচ্ছে ভারতে। সেই সঙ্গে ১৮তম লোকসভায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফিরতে চলেছে বিরোধী দলনেতার পদ।
তবে ভারতের ইতিহাসে মোদিই হতে চলেছেন দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী, যিনি পর পর তিনবার ক্ষমতায় এলেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে জওহরলাল নেহরুর মতো পর পর তিনবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতা দখলের রেকর্ড করা সম্ভবত হচ্ছে না তার।