1. news@panchakhandaeye.com : পঞ্চখণ্ড আই : পঞ্চখণ্ড আই
  2. info@www.panchakhandaeye.com : পঞ্চখণ্ড আই :
বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রে ডা: খালেদ’র মাতৃবিয়োগ ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি ঘিরে বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা! ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু ১৯ নভেম্বর অর্ধশতাব্দীর অপেক্ষা: করতী খালে সেতুহীন দুর্ভোগে বিয়ানীবাজারের প্রান্তিক ২০ হাজার মানুষ নির্দিষ্ট বেতনসীমা অতিক্রমে সরকারি কর্মচারীদের বেতন থেকে উৎসে কর কর্তন বাধ্যতামূলক ডিউটির সময় ইনচার্জ ছাড়া পুলিশ সদস্যদের মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি ডিএমপির প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের রুল দেশের ১৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার সাংবাদিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঐক্যের বিকল্প নেই — জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা সমস্যাগ্রস্ত পাঁচ শরিয়াভিত্তিক ব্যাংককে অকার্যকর ঘোষণা, গঠিত হচ্ছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’

ডাবের পানি সবার জন্য জরুরি নয়: যেসব মানুষের এড়িয়ে চলা উচিত

পঞ্চখণ্ড আই ডেস্ক
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫
  • ১৩০ বার পড়া হয়েছে

পঞ্চখণ্ড আই ডেস্ক :
ডাবের পানি অনেকের কাছে একধরনের সুপারড্রিংক। এতে ক্যালোরি কম, প্রচুর ইলেকট্রোলাইট থাকে, গরমে শরীর ঠান্ডা রাখে, হজমে সহায়তা করে, এমনকি ত্বকের জন্যও উপকারী। তবে এত উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও এটি সবার জন্য সমান নিরাপদ নয়। কিছু মানুষের শরীরের অবস্থা অনুযায়ী ডাবের পানি খেলে উপকারের বদলে ক্ষতিও হতে পারে। নিচে এমন ৬ ধরনের মানুষের কথা বলা হলো, যাদের ডাবের পানি এড়িয়ে চলাই ভালো—

১. ডায়াবেটিস রোগী

ডাবের পানিতে প্রাকৃতিক চিনি থাকে—২০০ মিলিলিটারে প্রায় ৬–৭ গ্রাম। নিয়মিত বা বেশি পরিমাণে পান করলে এটি রক্তে শর্করা বাড়াতে পারে। বিশেষত প্যাকেটজাত ডাবের পানিতে বাড়তি চিনি মেশানো থাকতে পারে। তাই ডায়াবেটিস থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডাবের পানি খাওয়া উচিত।

২. যাদের অ্যালার্জি আছে

ডাবের পানিতে অ্যালার্জির ঝুঁকি খুব বেশি নয়, তবে কিছু মানুষের ত্বক বা শরীরে প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে—চুলকানি, ফোলা, লাল হয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট বা হজমের সমস্যা। গুরুতর ক্ষেত্রে অ্যানাফিল্যাক্সিস পর্যন্ত হতে পারে। যাদের বাদামে অ্যালার্জি আছে, তাদের ডাবের পানি খাওয়ার আগে সতর্ক থাকা উচিত।

৩. কিডনি রোগী

ডাবের পানি পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ। কিডনির সমস্যা থাকলে শরীর অতিরিক্ত পটাশিয়াম বের করতে পারে না। এতে রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে (হাইপারক্যালেমিয়া) পেশি দুর্বলতা, বমি বমি ভাব, এমনকি হৃদস্পন্দন বন্ধ হওয়ার মতো মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।

৪. ঠান্ডা-সর্দি বা ফ্লু হলে

ডাবের পানি শরীর ঠান্ডা করে। গরমে উপকারী হলেও ঠান্ডা লাগা, ফ্লু বা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সময় এটি খেলে শ্লেষ্মা (কফ) বেড়ে শরীর আরও ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে।

৫. উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ সেবনকারী রোগী

ডাবের পানি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করলেও এতে পটাশিয়াম বেশি থাকে। অনেক উচ্চ রক্তচাপের ওষুধও শরীরে পটাশিয়াম বাড়ায়। একসঙ্গে দু’দিক থেকে পটাশিয়াম বেড়ে গিয়ে মারাত্মক জটিলতা তৈরি করতে পারে। তাই এ ধরনের রোগীদের ডাবের পানি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

৬. যাদের ইলেকট্রোলাইট সীমিত ডায়েটের প্রয়োজন

হৃদরোগ বা কিডনির সমস্যায় ডাক্তাররা অনেক সময় পটাশিয়াম, সোডিয়াম বা ম্যাগনেশিয়াম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বলেন। ডাবের পানিতে এই উপাদানগুলো বেশি থাকায় এ ধরনের ডায়েটে থাকা ব্যক্তিদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ। এতে শরীরের ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে ক্লান্তি, পেশিতে টান বা হৃদস্পন্দনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

শেষ কথা
ডাবের পানি উপকারী, তবে সবার জন্য নয়। উপরোক্ত সমস্যাগুলির যেকোনোটি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ডাবের পানি খাবেন না। মনে রাখবেন—ভালো জিনিসও তখনই উপকারী, যখন শরীরের প্রয়োজন ও পরিস্থিতি অনুযায়ী গ্রহণ করা হয়।

Leave a Reply

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট