✍️ আতাউর রহমান :
জীবনে বড় হওয়ার জন্য বড় পদ বা অর্থবিত্ত নয়, দরকার চরিত্র, নিরলস পরিশ্রম আর মানবিক চিন্তাভাবনা। মোঃ জহুরুল ইসলাম স্যার এমনই একজন মানুষ—যিনি শিক্ষকতা, নীতিবোধ ও বাস্তববাদী চিন্তার মাধ্যমে হয়ে উঠেছেন সমাজের একজন সাদামাটা অসাধারণ মানুষ।
জন্ম ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৬৭, জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে। শিক্ষাজীবন শুরু কামারের চর উচ্চ বিদ্যালয়ে, পরবর্তীতে এইচএসসি, ডিগ্রি এবং বিএড সম্পন্ন করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন—“সত্যিকারের শিক্ষা মানুষের মতো মানুষ গড়ার মাধ্যম।”
জহুরুল ইসলাম ১৯৯০-এর দশকে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হন এবং দীর্ঘ ৩০ বছরেরও বেশি সময় শিক্ষকতা পেশায় নিষ্ঠার সহিত কাজ করছেন। বর্তমানে তিনি বিয়ানীবাজারের বালিঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। তাঁর অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী দেশ-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত।
পারিবারিক জীবনে তিনি একজন আদর্শ স্বামী ও পিতা। তাঁর একমাত্র ছেলে প্রবাসে, বড় মেয়ে রসায়নে অনার্স করছেন, ছোট মেয়ে সদ্য এসএসসি উত্তীর্ণ।
শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি একজন মানবিক ও সমাজ সচেতন লোক। নিজ গ্রামে একজন সালিশ ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিইত। যুক্তিবাদী চিন্তা, বাস্তবতা মেনে চলা ও টাকার সঠিক ব্যবহারে বিশ্বাসী মানুষ তিনি।
ধর্মীয় অনুশীলনেও তিনি যত্নবান, এবং জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো পবিত্র হজ পালন করা।
নম্রতা, সাহস, শৃঙ্খলা ও আত্মনিয়ন্ত্রণে বিশ্বাসী জহুরুল ইসলাম স্যার লালন করেন যে—সাদামাটা জীবন যাপন করেও কীভাবে একজন মানুষ- অসাধারণ হয়ে উঠতে পারেন। তিনি সেই দৃষ্টান্তের অনুপ্রেরণা হয়ে বাঁচতে চান।