পঞ্চখণ্ড আই ডেস্ক :
বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাব গভীর শ্রদ্ধা ও শোকের আবহে পালন করেছে শহীদ সাংবাদিক আবু তাহের মো. তুরাবের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। গত বছরের এই দিনে (১৯ জুলাই) সিলেট শহরের বন্দরবাজারে বর্বরোচিত পুলিশের গুলিতে নির্মমভাবে প্রাণ হারান তুরাব। রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের সেই কালো দিন স্মরণ করে এ বছর ১৯ জুলাই (শনিবার) বাদ জোহর তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল ও প্রতিবাদ র্যালির আয়োজন করা হয়।
দোয়া মাহফিল শেষে পৌরশহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে একটি প্রতিবাদী র্যালি বের হয়ে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় এক প্রতিবাদ সভা।
প্রেসক্লাব সভাপতি সজীব ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন— সাবেক সভাপতি ও শিক্ষাবিদ আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম, সদস্য সৈয়দ মুনজের হোসেন বাবু, এম এ ওমর, আমিনুল হক দিলু, মিছবাহ উদ্দিন, আলম শাওন, ছরওয়ার খান, রুহেল আহমদ, অজয় বর্মণ, শরিফ উদ্দিন, ছালেহ আহমদ, হাসান আহমদ, সুয়েব আহমদ, আরফান আলিফ, হাফিজুর রহমান তামিম, আব্দুল করিমসহ আরও অনেকে।
বক্তারা শহীদ সাংবাদিক তুরাব হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবি করেন। তাঁরা বলেন, জুলাই আন্দোলনে নিহত তুরাবসহ সকল সাংবাদিক হত্যার পেছনে রাষ্ট্রীয় নির্লজ্জ ফ্যাসিবাদের ছায়া আছে। এই হত্যাগুলোর বিচার না হলে গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চিরতরে স্তব্ধ হয়ে যাবে।
বক্তারা শহীদ তুরাবের রক্তের ঋণ শোধ করতে আইনি ও সামাজিক পর্যায়ে সম্মিলিত প্রয়াস চালানোর আহ্বান জানান। তাঁরা তুরাবের মৃত্যুবার্ষিকীকে সাংবাদিক নির্যাতনবিরোধী দিবস হিসেবে পালনের দাবিও তোলেন।
এর আগে, গত ১০ জুলাই শহীদ তুরাবের গ্রামের বাড়ি ফতেহপুরে গিয়ে তাঁর কবর জিয়ারত করেন বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ। সেখানে তাঁরা পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাতে অংশ নেন।
শহীদ তুরাব বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মরহুম মাস্টার আব্দুর রহীমের সুযোগ্য সন্তান ছিলেন।