আতাউর রহমান :
শিব্বির আহমদ সোহেল পেশায় একজন চিকিৎসক, যিনি শুধু রোগ নিরাময়ে নয়, মানুষের পাশে দাঁড়ানোতেও আস্থা রাখেন। তিনি দুই সন্তানের গর্বিত পিতা, একজন মানবিক সমাজচিন্তক এবং বিয়ানীবাজার অঞ্চলের পরিচিত মুখ। করোনা মহামারির সময় সাহসিকতা ও সেবার নিদর্শন স্থাপন করে তিনি সমাজে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
Π পারিবারিক প্রেরণা ও শিকড়
শিব্বির আহমদ সোহেল এমন এক পরিবারে বেড়ে উঠেছেন, যেখানে চিকিৎসা ও সমাজসেবার চেতনা প্রজন্মান্তরে রক্তে বহমান। তাঁর বাবা একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও সমাজসেবী, যিনি দাসউরা উচ্চ বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য হিসেবে শিক্ষাক্ষেত্রেও রেখেছেন অবদান। তাঁর বোনও চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত। এই পারিবারিক পটভূমি শিব্বির আহমদ সোহেলকে একজন দায়িত্ববান ও সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলেছে।
Π করোনাযুদ্ধে সাহসী সৈনিক
মহামারি যখন সবাইকে ঘরবন্দি করেছে, তখন শিব্বির আহমদ সোহেল মানুষের পাশে থেকে সাহস ও চিকিৎসাসেবা দিয়ে হয়েছেন ‘করোনাযুদ্ধের যোদ্ধা’। তিনি অকুতোভয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের সেবা দিয়েছেন, যা আজও অনেকের মনে সঞ্চার করে কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা।
Π ছবির ভাষ্য ও মানবিক অবয়ব
সংলগ্ন ছবিতে আমরা দেখতে পাই, ইটের দেওয়ালের পাশে সাদাসিধে পাঞ্জাবি-পায়জামা পরা একজন ব্যক্তি, যিনি একদিকে আত্মবিশ্বাসী, আবার অন্যদিকে শান্ত ও আত্মস্থ। তাঁর চোখেমুখে ফুটে ওঠে স্নিগ্ধতা ও দায়িত্বশীলতার ছাপ। দাঁড়ানোর ভঙ্গিতে আছে আত্মমর্যাদা, হাত পকেটে রাখা এক পরিমিত স্বচ্ছন্দতার বার্তা দেয়। এই ভঙ্গি তার ব্যক্তিত্বের দৃঢ়তা এবং এক অন্তর্নিহিত মানবিক বিশ্বাসকে তুলে ধরে।
Π উপসংহার
শিব্বির আহমদ সোহেল শুধু একজন ডাক্তার নন, তিনি হলেন একটি মানবিক ভাবনার প্রতীক। পেশাগত দক্ষতা, পারিবারিক ঐতিহ্য, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং নিজের ব্যক্তিত্ব – সব মিলিয়ে তিনি আজকের তরুণ সমাজের জন্য অনুকরণীয় এক দৃষ্টান্ত।