পঞ্চখণ্ড আই ডেস্ক : সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ চার নেতাকে গ্রেফতার করেছে মেঘালয় রাজ্যের শিলং পুলিশ।
রোববার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার নিউ টাউন হাতিয়ারা এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। ঐ রাতেই তাদেরকে মেঘালয়ের রাজধানী শিলং থানায় আনা হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সহ-সভাপতি রিপন ও সদস্য জুয়েল।
এছাড়া অন্য পলাতক আসামি হলেন সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসর আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিটু।
সূত্রমতে, অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এদিকে কলকাতায় অবস্থানরত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল জানান, ‘তাদেরকে শিলংয়ের ডাউকি থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা নম্বর ১৯(১০)২৪। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ, ছিনতাই ও ডাকাতির অভিযোগ আনা হয়েছে।’
ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তারা সিলেটের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে শিলং পাড়ি দেন। শিলং শহরে প্রথমে তারা একটি হোটেলে অবস্থান নেন। পরে শহরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। মেঘালয়ের ডাউকি থানার একটি মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
সূত্রমতে, গত ৫ নভেম্বর শিলং থেকে তারা কলকাতায় স্থানান্তরিত হন। কলকাতার আবাসস্থল থেকে নাসির, মুক্তি, রিপন ও জুয়েল ছাড়াও সুনামগঞ্জের এক ইউপি চেয়ারম্যানকেও গ্রেফতার করে শিলং পুলিশ। পরে সেখানে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এর হস্তক্ষেপে মামলার এজহারে নাম না থাকা ইউপি চেয়ারম্যানকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এদিকে শিলং পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, সিলেট থেকে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা নাসির উদ্দিন খান ও যুবলীগ সভাপতি মুক্তিসহ সবাই শিলং অবস্থানকালে তাদের আবাসস্থলে একটি ধর্ষনের ঘটনা ঘটে। একই ফ্লাটে অবস্থান করায় ধর্ষণ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছয়জনকে আসামি করে শিলং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। আরো দুইজন আসামি পলাতক রয়েছেন।