পঞ্চখণ্ড আই প্রতিবেদক : সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার উপ-হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ এবং আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ভাঙচুরের পর দুই মিশনের প্রধানকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, কলকাতায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত উপ-হাইকমিশনার শিকদার মো. আশরাফুর রহমান এবং ত্রিপুরার সহকারী হাইকমিশনার আরিফুর রহমানকে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়। গত মঙ্গলবারে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী ইতোমধ্যে ঢাকায় ফিরেছেন কলকাতায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত উপ-হাইকমিশনার শিকদার মো. আশরাফুর রহমান। ত্রিপুরার সহকারী হাইকমিশনারও আজ ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
গত ২ ডিসেম্বর আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পরদিন সহকারী হাইকমিশনে সব ধরনের কনস্যুলার ও ভিসা সেবা বন্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকার। নিরাপত্তাহীনতার কারণে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সেখানকার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের হাইকমিশনে হামলায় দু’ দেশের সম্পর্ক প্রসঙ্গে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এবং নরওয়ের অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক আলজাজিরাকে বলেন, আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ে হামলা নিশ্চিতভাবেই দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনাকে আরও বৃদ্ধি করবে।
“বিগত সরকারের আমলে উভয় দেশের মধ্যে যে স্থিতিশীল সম্পর্ক ছিল, বর্তমানে এটি পুরেপুরি এলোমেলো হয়ে পড়েছে। দুই প্রতিবেশীর মধ্যে দিন দিন আস্থার সংকট প্রকট হচ্ছে। বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়বে কি না, তা এখনই নিশ্চিতভাবে বলার উপায় নেই।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা অবশ্য মঙ্গলবার ভারতের দৈনিক দ্য হিন্দুকে এক বলেছেন, “বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্পর্ক শুধু একটি এজেন্ডার ওপর ভিত্তি করে চলতে পারে না। এই সম্পক্র বহুমাত্রিক এবং উভয় দেশই পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের অংশীদার হতে ইচ্ছুক।”
বাংলাদেশের সাবেক ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অনিল ত্রিগুনায়েত আল জাজিরাকে বলেন, “বাংলাদেশে তথাকথিত মব কালচারের অবসান এবং আইনের শাসন যত শিগগির ফিরে আসবে, ভারত এবং বাংলাদেশের সম্পর্কও তত দ্রুত স্বাভাবিক হবে।”
সূত্র : আলজাজিরা