পঞ্চখণ্ড আই ডেস্ক : চাকরি প্রত্যাশীর জন্য আসছে সুখবর। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ছে। পাশাপাশি বাড়ানো হচ্ছে অবসরে যাওয়ার সময়ও। এ নিয়ে সুপারিশ করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এ বিষয়ে গঠিত কমিটি। জনপ্রশাসন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আলোচনা হবে। এরপর সিদ্ধান্ত হবে।
প্রবল গণ-আন্দোলনে গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। এরপর থেকে নানা দাবিতে বিভিন্ন সংগঠনের কর্মসূচির মধ্যে বয়সসীমা নিয়ে আন্দোলনকারীরাও মাঠে নামেন। একপর্যায়ে চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে পরামর্শ নিতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটির প্রধান করা হয় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্য প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, বয়স বৃদ্ধির দাবিতে সরকারের বর্তমান নীতিমালা এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ও সার্বিক পরিস্থিতির আলোকে সবকিছু চিন্তা করে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। বয়স বৃদ্ধি করার যৌক্তিকতা আছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
কী যৌক্তিকতা আছে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোভিড, সেশনজটে অনেকের সমস্যা হয়েছে। এখনকার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো উচিত। তবে কতটুকু বাড়ানো দরকার, এটা আমি বলতে পারছি না। আমরা সবকিছু পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব কতটুকু বাড়ানো যায়। দৈনিক ঢাকা পোস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিভিন্ন মহল থেকে চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স যথাক্রমে ৩৫ ও ৬৫ নির্ধারণ করার দাবি উঠলেও মানুষের গড় আয়ু বিবেচনায় নিয়ে বয়সসীমা চূড়ান্ত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন সূত্রমতে, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৩ বছর করা হতে পারে। পক্ষান্তরে অবসরের বয়সসীমা হতে পারে ৬৩ বছর।