পঞ্চখণ্ড আই ডেস্ক : বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী শামীম বলেছেন, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আলহাজ্ব বদরুজ্জামান এর মতো মানবিক মানুষরাই আমাদের সম্পদ। এধরনের চিত্ত ও বিত্তশালীরা সামাজিক কার্যক্রমে এগিয়ে আসলে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী আলহাজ্ব বদরুজ্জামান গেল ফেব্রুয়ারিতে কুড়ারবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের প্রয়োজনে ২ লক্ষ ৫ হাজার টাকা দিয়ে আজীবন দাতা সদস্য হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন।নির্মিত শহীদ মিনার উদ্বোধন হলেও তিনি দাতা সার্টিফিকেট না পাওয়ায় গতকাল (১ সেপ্টেম্বর) উপজেলা নির্বাহী অফিসার (বিদ্যালয়ের সভাপতি) এর সাথে সাক্ষাৎ করেন ও মত বিনিময় করেন। বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও শিক্ষাবিদ মো. আতাউর রহমান ও মুফতি মাওলানা আবুল কাশেম এর উপস্থিতিতে ইউএনও কাজী শামীম এর আহবানে বিয়ানীবাজার উপজেলা মসজিদের জন্য ৩টি দোকান কোটা ও অজুখানা নির্মাণের জন্য তিনি ০৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকার অনুদান দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
আলহাজ্ব বদরুজ্জামান একজন ব্যবসায়ী। দেশে-বিদেশে তাঁর ব্যবসা রয়েছে। তিন শুধুমাত্র ব্যবসায়ী নন। তিনি মনের দিক থেকে একজন সমাজ সেবী, শিক্ষানুরাগী ও দানশীল ব্যক্তিত্ব। লন্ডন প্রবাসী হলেও নিজের ব্যবসার লাভ্যাংশের বড় একটি অংশ সমাজের বিভিন্ন সামাজিক খাতে দীর্ঘ দিন ধরে ব্যয় করে আসছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে রাস্তা ঘাট, ঘর বাড়ী, টিবওয়েল, এমনকি কৃষকের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য ট্রাক্টর, পানির পাম্প, স্যানেটারী, ল্যাট্রিন, বন্যার্তদের রিলিফ প্রদান-সহ মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ, কিন্ডার গার্ডেন, ক্লাব, সমিতিতে নি:স্বার্থে দান করার নিদর্শন রয়েছে।
আলহাজ বদরুজ্জামানের বাড়ি বিয়ানীবাজার উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের লাউঝারী গ্রামে। নিজ গ্রামে তিনি কোরআনের আলো প্রসারে আবাসিক হোটেলসহ ‘বদরুজ্জামান হাফিজিয়া মাদরাসা’ নামে একটা দ্বীনি প্রতিষ্ঠান গড়ে দিয়েছেন। এ মাদ্রাসার শিক্ষক বেতন ভাতাসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আবাসিক যাবতীয় ব্যয়ভার নিজে বহন করে আসছেন।