1. news@panchakhandaeye.com : পঞ্চখণ্ড আই : পঞ্চখণ্ড আই
  2. info@www.panchakhandaeye.com : পঞ্চখণ্ড আই :
রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:০২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
সিলেটে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স নবায়ন শুরু ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ে রাজনৈতিক ইতিহাসের নতুন অধ্যায়: সংযোজন–বিয়োজন ও পুনর্গঠিত বিবরণ বিয়ানীবাজারে কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থকের অংশগ্রহণে জামায়াত প্রার্থী সেলিম উদ্দিনের গণমিছিল বিয়ানীবাজার পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন (জুয়েল) এর মৃত্যুতে বিএনপি মহাসচিবসহ দলীয় নেতৃবৃন্দের গভীর শোক প্রকাশ ঢাকার গাজীপুরে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও ভূমিকম্প কৈলাশটিলার পুরোনো কূপে নতুন গ্যাসের সন্ধান তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল : আপিল বিভাগের ঐতিহাসিক রায় শেওলা সুতারকান্দি “টিভি”র ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন : দুবাগবাজারে আলোচনা সভা ও নাশিদ সন্ধা অনুষ্ঠিত ভারতের প্রতি দণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে হস্তান্তরের আহ্বান অন্তর্বর্তী সরকারের ট্রাইব্যুনালের রায়কে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ বলে নিন্দা শেখ হাসিনার—বিবিসিতে প্রকাশিত পাঁচ পৃষ্ঠার বিবৃতি

বিয়ানীবাজারে ইলেকট্রিক মিস্ত্রীর মৃত্যু: রহস্যের জট খুলতে কাছাকাছি পুলিশ

পঞ্চখণ্ড আই প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

পঞ্চখণ্ড আই প্রতিবেদক

বিয়ানীবাজার পৌরশহরের খাসা এলাকায় একটি পরিত্যক্ত স্থান থেকে উদ্ধার হওয়া ইলেকট্রিক মিস্ত্রী সুনীল আচার্য্য (৫০)–এর মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্ন ঘুরছে জনমনে। নিখোঁজের তিনদিন পর পাওয়া এই মরদেহ ঘিরে এখন পুরো এলাকা আলোচনায়। পুলিশ বলছে—তারা রহস্য উদঘাটনের “বেশ কাছাকাছি”।

নিখোঁজ থেকে লাশ উদ্ধার পর্যন্ত ঘটনাক্রম

গত ২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন সুনীল আচার্য্য। খাসা গ্রামের মৃত সুখময় আচার্যের ছেলে সুনীল পেশায় ছিলেন ইলেকট্রিক মিস্ত্রী। সংসার চালাতেন দিনমজুরির মতোই পরিশ্রমে।
তিনি নিয়মিত কসবা ত্রিমুখি বাজারে কাজ শেষে রাতের আড্ডা শেষে মধ্যরাতে বাড়ি ফিরতেন। নিখোঁজের রাতেও বাজারের একটি মুদি দোকান থেকে সিগারেট কিনতে দেখা গেছে তাকে। এরপর রাত ১২টার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ।

রবিবার সকাল ৮টার দিকে, নিখোঁজের তিনদিন পর, তার মরদেহ উদ্ধার হয় খাসা এলাকায় নিজ বাড়ির অদূরে একটি পরিত্যক্ত জায়গা থেকে। মরদেহের অবস্থান ছিল পচনধরা ও ফুলে ওঠা।

মরদেহে সন্দেহজনক চিহ্ন

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সুনীলের শরীরের কয়েকটি স্থানে আঘাতের দাগ ছিল। বিশেষ করে হাতে কাটার মতো দাগ এবং অণ্ডকোষে ফুলে ওঠার লক্ষণ পাওয়া গেছে।
তবে ঘটনাস্থলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন পাওয়া গেলেও মানিব্যাগ পাওয়া যায়নি, যা তদন্তে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

তদন্তে একাধিক টিম

স্থানীয় থানা পুলিশ ও ডিবি আলাদাভাবে তদন্ত করছে। একাধিক টিম প্রযুক্তির সহায়তায় কাজ করছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা একাধিকবার পরিদর্শন করেছেন।
একটি সূত্র জানায়, পুলিশ ইতোমধ্যে কয়েকটি সম্ভাব্য কারণ ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে, তবে তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করা হচ্ছে না।

বিয়ানীবাজার থানার ওসি আশরাফ উজ্জামান বলেন,

“আমরা রহস্য উদঘাটনে অনেকটা এগিয়ে গেছি। মামলার পর তদন্তের গতি আরও বাড়ানো হবে।”

পরিবারের দাবি ও ক্ষোভ

নিহতের ভাই বকুল আচার্য্য জানিয়েছেন,

“আমার ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিত মনে হচ্ছে। আমরা অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করবো। পুলিশের তৎপরতায় আমরা আপাতত সন্তুষ্ট।”

সামাজিক সহমর্মিতা ও সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত

এই ঘটনার পর কসবা–খাসা এলাকায় দেখা গেছে অসাধারণ সামাজিক সম্প্রীতি ও মানবিক সংহতি। স্থানীয় মানুষজন নিহতের পরিবারকে আর্থিক ও মানসিকভাবে সহায়তা করছেন।
গোলাবশাহ যুব সংঘের পক্ষ থেকে নগদ অনুদান প্রদান করা হয়েছে। এলাকাবাসী একসঙ্গে শোকসন্তপ্ত পরিবারকে ঘিরে সহমর্মিতার অনন্য নজির গড়েছেন।

রহস্যের মূল প্রশ্নগুলো

১. সুনীল আচার্য কোথায় এবং কাদের সঙ্গে ছিলেন নিখোঁজের রাতে?
২. কেন তার মানিব্যাগ হারিয়ে গেছে, অথচ মোবাইল ফোন ঘটনাস্থলেই ছিল?
৩. মৃত্যুর আগে কি কোনো শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি?
৪. এটি কি পরিকল্পিত হত্যা, নাকি কোনো পেশাগত বা ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের ফল?

সুনীল আচার্যের রহস্যজনক মৃত্যু বিয়ানীবাজারে নয়া আলোচনার জন্ম দিয়েছে। পুলিশ বলছে, তারা “খুব শিগগিরই” ঘটনার পেছনের রহস্য উন্মোচন করবে।
এদিকে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা—একজন পরিশ্রমী, নিরীহ মিস্ত্রীর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ যেন প্রকাশ পায় এবং দোষীরা আইনের আওতায় আসে।

Leave a Reply

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট