1. news@panchakhandaeye.com : পঞ্চখণ্ড আই : পঞ্চখণ্ড আই
  2. info@www.panchakhandaeye.com : পঞ্চখণ্ড আই :
বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
বৈশ্বিক মহামারির ‘লকডাউন আতঙ্ক’ আজ রাজনীতিতে! যুক্তরাষ্ট্রে ডা: খালেদ’র মাতৃবিয়োগ ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি ঘিরে বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা! ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু ১৯ নভেম্বর অর্ধশতাব্দীর অপেক্ষা: করতী খালে সেতুহীন দুর্ভোগে বিয়ানীবাজারের প্রান্তিক ২০ হাজার মানুষ নির্দিষ্ট বেতনসীমা অতিক্রমে সরকারি কর্মচারীদের বেতন থেকে উৎসে কর কর্তন বাধ্যতামূলক ডিউটির সময় ইনচার্জ ছাড়া পুলিশ সদস্যদের মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি ডিএমপির প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের রুল দেশের ১৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার সাংবাদিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঐক্যের বিকল্প নেই — জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা

দাম্পত্য কলহ রোধে মূল ভিত্তি ও সমাজের দায়িত্ব

লেখক-Π আতাউর রহমান
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

লেখক Π আতাউর রহমান

আজকের দ্রুত পরিবর্তনশীল সমাজে দাম্পত্য জীবন নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝি, পরিবার ও সমাজের প্রভাব, আর কখনো কখনো অর্থনৈতিক ও সামাজিক চাপ—সবই সংসারকে ঝুঁকিতে ফেলে। এই সকল জটিলতায় শুধু স্বামী–স্ত্রীর সচেতনতা যথেষ্ট নয়; সমাজ ও পরিবার এগিয়ে আসতে হবে। দাম্পত্য কলহ শুধুমাত্র স্বামী–স্ত্রীর ব্যক্তিগত সমস্যা নয়; এটি পুরো পরিবার ও সমাজের জন্যও বার্তা বহন করে। তাই, শান্তি ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে প্রয়োজন সচেতনতা, নৈতিকতা ও ইসলামের আলোকে নির্দেশিত কিছু মূল ভিত্তি।

সংসারকে সুখী ও স্থায়ী রাখার জন্য ইসলামের আলোকে সাতটি মূল ভিত্তি অপরিহার্য। এর মূল ভিত্তিগুলো হলো :

● তাকওয়া ও আল্লাহভীতি:
স্বামী–স্ত্রী দু’জন আল্লাহকে ভয়ে আচরণ করলে অন্যায় আচরণ কমে। পাশাপাশি, পরিবার ও সমাজকেও উচিত নৈতিকতা প্রচার ও সদিচ্ছা প্রদর্শন।

● ভালোবাসা ও রহমত:
প্রেম ও দয়া ছাড়া সংসার টিকে না। সহমর্মিতা ও উদারতা দাম্পত্যকে দৃঢ় করে। পরিবার ও প্রতিবেশীদের সহায়ক মনোভাব সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করে।

● আস্থা ও বিশ্বস্ততা:
পারস্পরিক বিশ্বাস ছাড়া সংসার টিকে না। ছলছাতুরি, কুপ্রভাব বা সন্দেহই সম্পর্ক নষ্ট করে। সমাজ ও পরিবারকে উচিত এমন নেতিবাচক আচরণ এড়িয়ে চলা।

● সমঝোতা ও সহনশীলতা:
মতভেদ স্বাভাবিক, কিন্তু ক্ষমা ও সমঝোতাই সমাধান। নবী ﷺ বলেছেন: “মুমিন স্বামী–স্ত্রী যেন একে অপরকে ঘৃণা না করে।” পরিবার ও সমাজ যদি পক্ষপাত বা প্রভাব বাড়ানো এড়িয়ে চলে, তা সংসারে শান্তি বজায় রাখে।

● দায়িত্ববোধ ও সহযোগিতা:
উভয় পরিবারে আধিপত্য লড়াই বা যৌতুকের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলার জন্য স্বামী–স্ত্রীর দায়িত্ববোধ অপরিহার্য। সমাজও দায়িত্ব পালন করে—পরামর্শ, মানসিক সমর্থন ও সচেতনতা প্রদানের মাধ্যমে।

● সুন্দর ব্যবহার ও যোগাযোগ:
কঠোর বা আক্রমণাত্মক ভাষা সম্পর্ক নষ্ট করে। কোমল ব্যবহার, শ্রদ্ধাশীল কথাবার্তা সমস্যা কমায়। পরিবার ও সমাজের শিক্ষা ও নজরদারি সহায়ক ভূমিকা রাখে।

● ধৈর্য:
দাম্পত্য জীবনে পরীক্ষা থাকবে। আল্লাহর ওপর ভরসা ও ধৈর্য ছাড়া বোঝাপড়া সম্ভব নয়। পরিবার ও সমাজও ধৈর্যশীল সমাধান প্রক্রিয়ায় সাহায্য করতে পারে।

সুতরাং দাম্পত্য কলহ কেবল স্বামী–স্ত্রী নয়, পুরো পরিবার ও সমাজের দায়িত্বের বিষয়। ছলছাতুরি, আধিপত্য লড়াই বা যৌতুকের নেতিবাচক প্রভাব যতই হোক না কেন, যদি স্বামী–স্ত্রী এই সাতটি ভিত্তি মেনে চলে এবং সমাজও সচেতন ও সহায়ক হয়, তাহলে সংসার টিকে থাকে সুখী, সমাজ হয় সুস্থ, এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পায় সুস্থ দৃষ্টান্ত।

Leave a Reply

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট