বিয়ানীবাজারসহ সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় চলছে এক অসহনীয় মৃদু দাবদাহ। গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা একটানা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে অবস্থান করছে। কিন্তু বাতাসে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অনুভূত তাপমাত্রা যেন আরও কয়েক ডিগ্রি বেশি। ফলে ঘর হোক বা বাহির—কোথাও স্বস্তি নেই।
এই ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল জনজীবন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সূর্য যেন মাথার ওপর জ্বলন্ত আগুন। এমন অবস্থায় সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষ, যাঁদের জীবিকা নির্ভর করে কায়িক পরিশ্রমের ওপর। হাট-বাজারেও জনসমাগম কমে গেছে চোখে পড়ার মতো।
চিকিৎসকরা বারবার সতর্ক করছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মনিরুল হক খান জানিয়েছেন—তাপমাত্রা বেশি থাকায় হিটস্ট্রোক, পানিশূন্যতা এবং অন্যান্য তাপজনিত রোগের আশঙ্কা বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের নিয়ে বাড়তি সতর্কতা দরকার। চিকিৎসকরা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
আবহাওয়া অফিসের মতে, এই দাবদাহ আরও চার থেকে পাঁচ দিন অব্যাহত থাকতে পারে। জুন মাসে স্বাভাবিকের তুলনায় কম বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় তাপপ্রবাহ থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তির সম্ভাবনা ক্ষীণ।
এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজন ব্যক্তিগত সচেতনতা ও সামাজিক সহমর্মিতা। যথাযথ পরিমাণে পানি পান, হালকা খাবার গ্রহণ, রোদে না বের হওয়া এবং ছায়াযুক্ত পরিবেশে অবস্থান করা—এসব অভ্যাস হতে পারে জীবনরক্ষাকারী। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর উচিত কর্মজীবী মানুষদের জন্য ছায়া বিশ্রামকেন্দ্র, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা ও প্রাথমিক চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করা।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঠেকানো আমাদের হাতে নেই, কিন্তু তার অভিঘাত কমানো আমাদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।
পঞ্চখণ্ড আই.কম সব সময় মানুষের পাশে, সত্য ও দায়িত্বের পথে অটল।
📢 অসত্যের বিপরীতে পথ চলা — এই প্রতিশ্রুতির আলোতেই আমরা বিশ্বাস করি, সচেতনতা আর সহানুভূতি দিয়েই আমরা এই দাবদাহও কাটিয়ে উঠতে পারব।