1. news@panchakhandaeye.com : পঞ্চখণ্ড আই : পঞ্চখণ্ড আই
  2. info@www.panchakhandaeye.com : পঞ্চখণ্ড আই :
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
গ্যাসক্ষেত্রের শহর, গ্যাসবঞ্চিত নাগরিক: বিয়ানীবাজারের দীর্ঘশ্বাস কলেজ চলাকালীন কোচিং বন্ধে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ অধ্যক্ষের কড়া নির্দেশনা বিয়ানীবাজারে শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে আয়াতুল্লাহ খামেনির বিজয়-ঘোষণা আজ থেকে শুরু এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পৃথিবীর সর্বনাশের জন্য দায়ী আমরাই”—বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ড. ইউনূসের হুঁশিয়ারি চার দশকের পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার প্রতিচ্ছবি- মোঃ নজরুল হক শিকাগোতে ডায়াবেটিস সম্মেলনে ডা. শিব্বির আহমদ সুহেল এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায্য দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ই-ক্যাশবুক: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আর্থিক স্বচ্ছতার প্রেক্ষিত ও প্রতিক্রিয়া

পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হচ্ছে জুলাইয়ে বিপ্লবের ছবি ও গ্রাফিতি

পঞ্চখণ্ড আই প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১২৬ বার পড়া হয়েছে

পঞ্চখণ্ড আই প্রতিবেদক: ছাত্র জনতার আন্দোলনে পাঁচ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তন হয়েছে রাজনৈতিক পট। পরিবর্তন আসছে পাঠ্যবইয়েও। এসব পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হচ্ছে জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের অধ্যায়। সেই সঙ্গে পুলিশের গুলিতে মারা যাওয়ার আবু সাঈদের নামে একটি নতুন গল্প যুক্ত করার কথা ভাবছেন সংশ্লিষ্টরা। পাঠ্যবইয়ের প্রচ্ছদ থেকে বাদ যাচ্ছে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ও তাঁর উদ্ধৃতি। সেখানে যুক্ত হচ্ছে জুলাইয়ে বিপ্লবের ছবি ও গ্রাফিতি। পরিবর্তন আনা হচ্ছে ইতিহাসনির্ভর অনেক বিষয়েও। এসব সংস্কারের পর নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

জানা গেছে, ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের আলোকে পাঠ্যবই পরিমার্জন করছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এরপর নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এরই মধ্যে একাধিক বইয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে অধ্যায় যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ। তারা বিষয়টি চূড়ান্ত করতে একাধিক বৈঠক করেছেন। সেখানে সর্বসম্মতভাবে একমত পোষণ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, পাঠ্যবই থেকে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বাদ যাচ্ছে। একইসঙ্গে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে অধ্যায় যুক্ত করার বিষয়টি আলোচনায় আছে। তবে অভ্যুত্থানের কিছু গ্রাফিতি ইতোমধ্যে বিভিন্ন বইয়ে স্থান পেয়েছে।‌

এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, কিছু বই ছাপানোর কাজ পেয়েছিল ভারতীয় প্রতিষ্ঠান। সমালোচনা হওয়ায় তাদের বাদ দিয়ে দেশি ছাপাখানাগুলোকে বই ছাপার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, এবার মোট বইয়ের সংখ্যা ৪০ কোটির মতো। বই ছাপার জন্য পাণ্ডুলিপির সিডি শনিবার থেকে দেওয়া শুরু হয়েছে। তাঁর আশা, পরিকল্পনামতো কাজ হলে বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে পারবেন।

অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, ২০১২ সালে প্রণীত শিক্ষাক্রমের আলোকে আগামী বছরের পাঠ্যবই পরিমার্জনে কাজ করছে এনসিটিবি। বই ছাপার জন্য পাণ্ডুলিপির সিডি শনিবার থেকে দেওয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বই ছাপার জন্য প্রেসে পাঠানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য শ্রেণির বইও যাবে। আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যে সব বইয়ের কাজ সম্পন্ন হবে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন বই দিতে বলা হয়েছে ছাপার কাজে যুক্ত থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে।আশা করছি, পরিকল্পনামতো কাজ হলে বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে পরিমার্জিত পাঠ্যবই পৌঁছে দিতে পারবো।

জানা গেছে, দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করে ২০২৬ সাল থেকে তা কার্যকর করবে। তার আগে ২০২৫ সালে শিক্ষার্থীদের ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের বই পরিমার্জন করে দেওয়া হবে।

স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রতি বছর ১ কোটি ৮৯ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য ২৩ কোটি কপি বই ছাপায় এনসিটিবি। তাদের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, মে-জুন মাসে বইয়ের পাণ্ডুলিপি প্রুফ রিডারদের দেখানোর কথা ছিল। তবে এবার সেপ্টেম্বরে বই সংশোধনের ঘোষণা এসেছে। এতে আগামী বছরের শুরুতে নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদিও জানুয়ারি মাসেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছেন এনসিটিবি কর্মকর্তারা।

Leave a Reply

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট