1. news@panchakhandaeye.com : পঞ্চখণ্ড আই : পঞ্চখণ্ড আই
  2. info@www.panchakhandaeye.com : পঞ্চখণ্ড আই :
শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ১২:৫১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
দাবদাহে হাঁসফাঁস জনজীবন: সচেতন থাকুন, নিরাপদে থাকুন গোলাবশাহ যুব সংঘের দুই দিনের দুই ব্যতিক্রমী কর্মসূচি স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকে ড. ইউনূসকে না বলল যুক্তরাজ্য সরকার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নয়, কার্যক্রম স্থগিত : লন্ডনে চ্যাথাম হাউসে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস শিক্ষক নিয়োগে বড় পরিবর্তন : প্রিলিমিনারি পরীক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে! জনগণের পাশে সেনাবাহিনী : নীরব প্রচেষ্টার অনন্য বার্তা প্রতিটি নাগরিকই সীমান্তরক্ষী: আতাউর রহমান বিয়ানীবাজারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করলেন এডভোকেট জাহিদুর রহমান ড. ইউনূসের সরকারি সফর ঘিরে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক উত্তাপ হুইলচেয়ারে ফেরার যাত্রা: চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করে চেয়ারে বসলো ছাত্র| ইউএনও বললেন ‘এটি মেনে নেওয়া যায় না’

পঞ্চখণ্ড আই ডেস্ক
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১২৮ বার পড়া হয়েছে

পঞ্চখণ্ড আই ডেস্ক : কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেনের পদত্যাগ দাবি করে শিক্ষকের চেয়ারে বসে ছবি তুলে ফেসবুকে শেয়ার করে ভাইরাল হয়েছে এক ছাত্র। এ ঘটনাকে নেতিবাচক হিসেবেই দেখছেন শিক্ষক, অভিভাবক, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও নেটিজেনরা। দশম শ্রেণি পড়ুয়া ওই শিক্ষার্থী নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়ে ছবিটি সরিয়ে নিয়েছে।

ভাইরাল হওয়া ছবিটিতে দেখা গেছে, টেবিলের ওপর প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেনের নেম প্লেট। আর সেখানে সাদা পোশাকে প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসে আছে ওই ছাত্র। এ সময় ওই কক্ষে আর কাউকে দেখা যায়নি। ছবিটি প্রথমে নিজের ফেসবুকে আপলোড করে ওই ছাত্র লেখে, ‘আমাদের সু-সম্মানিত আলমগীর স্যার কোথায়।’

জানা যায়, ঐ ছাত্রের নাম ইকরামুল হাসান। তিনি ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। ইকরামুল স্থানীয় কুরুইন গ্রামের আবুল হাসমের ছেলে।

জানা গেছে, ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে। পরে প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল, ওই শিক্ষক আওয়ামী লীগ করেন ও বিদ্যালয়ের অর্থে তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। তাই তাকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে হবে।

খবর পেয়ে দেবিদ্বার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয়টির সভাপতি নিগার সুলতানা সেনাবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সেনাবাহিনীর সহায়তায় প্রধান শিক্ষক পদত্যাগ না করেই বিদ্যালয় ত্যাগ করেন।

এ বিষয়ে ওই ছাত্র বলে, ‘সবাই অফিস কক্ষ ত্যাগ করার পর আবেগে চেয়ারে বসে ছবি তুলি, এটা আমার ঠিক হয়নি, সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আমার ফেসবুক থেকেও ছবিটি বাদ দিয়েছি।’

এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ওরা হয়তো কারও ইন্ধনে ভুল বুঝে আন্দোলনে নেমেছে। অভিযোগ তদন্তের আগেই পদত্যাগে বাধ্য করা দেশে এখন যেন একটি রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নিগার সুলতানা বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে আমরা বিধি মোতাবেক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো। কিন্তু প্রধান শিক্ষক অফিস থেকে বের হওয়ার পর তারই ছাত্র চেয়ারে বসে ফেসবুকে ছবি পোস্ট দেয়ার যে ক্ষমাহীন দৃষ্টতা দেখিয়েছে- এ বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নেবো। এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। কোন বিবেকবান ও সুস্থ ছাত্র এটা করতে পারে না।’

Leave a Reply

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট