পঞ্চখণ্ড আই ডেস্ক : ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে প্লাবিত হয়েছে উপজেলার নিম্নাঞ্চল। বন্যা পরিস্থিতির আকস্মিক অবনতিতে ইতোমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে ৬৭টি আশ্রয় কেন্দ্র। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে গত বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত ২০টি পানিবন্দি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
অতি বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বিয়ানীবাজার উপজেলায় সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ডাইক ভেঙ্গে বিয়ানীবাজার উপজেলার আলীনগর, চারখাই, দুবাগ, শেওলা ও কুড়ারবাজার ইউনিয়ন বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়। এসব এলাকার একাধিক স্থান দিয়ে পানি প্রবেশ করায় পানিবন্দী হয়ে পড়ে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। অনেকের ঘর-বাড়িতে কষ্টে জীবনযাপন করছে। অনেক স্থানে ভেসে গেছে পুকুর-খামারের মাছ। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা উন্নতির দিকে।
এদিকে, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় নানা প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলার আলীনগর, চারখাই, দুবাগ, শেওলা ও কুড়ারবাজার ইউনিয়নের বেশীরভাগ এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। গত ৩১মে সরেজমিনে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শণ করেছেন পূনর্বার নির্বাচিত বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম কাশেম পল্লব, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী শামীম, অফিসার ইনচার্জ দেবদুলাল ধর-সহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, দুবাগ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় বন্যার পানির ভয়াবহতা বেশী। ইউনিয়নের একাধিক স্কুলে পানি প্রবেশ করেছে। বিজিবি ক্যাম্প, হাট-বাজার ঝূকির মুখে।
বন্যা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী শামীম জানান, সরকারি হিসেবে এখনো পর্যন্ত ৫ হাজার ৫শ’ লোক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। দূর্গত মানুষের সহায়তায় জন্য উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে ত্রাণ সামগ্রীর চাহিদা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
অপরদিকে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোবারক হোসেন জানিয়েছেন, পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধারে প্রস্তুত রয়েছে সেনাবাহিনী। প্রয়োজন হলেই তারা তৎপরতা শুরু করবে বলে জানান তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, সিলেট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে, কানাইঘাটে সুরমা বিপদসীমার ১৩৮ সেন্টিমিটার, আমলসীদে কুশিয়ারা বিপদসীমার ২১৩ সেন্টিমিটার, শেওলায় কুশিয়ারা বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।