পঞ্চখণ্ড আই ডেস্ক :
নেপালে তরুণপ্রজন্মের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ‘জেন Z আন্দোলন’-এর মুখে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে প্রকাশ্যে এসেছেন। দীর্ঘদিন সেনাবাহিনীর নিরাপত্তায় গোপনে অবস্থান করার পর তিনি শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভক্তপুর জেলার গুন্ডু এলাকায় দলীয় যুব সংগঠনের এক সভায় যোগ দেন।
সভায় অলি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “আপনারা ভাবছেন আমরা এই ভিত্তিহীন সরকারের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যাব? আমরা পালাব না।” তিনি আরও দাবি করেন, বর্তমান সরকার জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া সহিংসতা ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। আন্দোলনের সময় প্রশাসনকে কী নির্দেশনা তিনি দিয়েছিলেন—তার রেকর্ডিং প্রকাশ করারও আহ্বান জানান।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তরুণদের দুর্নীতি ও ইন্টারনেট সেন্সরশিপবিরোধী আন্দোলনের মুখে অলি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এসময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৭৪ জন নিহত এবং দুই হাজারের বেশি আহত হন। ফরেনসিক রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে, আন্দোলনকারীদের ওপর সরাসরি গুলি চালানো হয়েছিল।
অলির পদত্যাগের পর সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছে। তিনি ইতোমধ্যে আন্দোলনের পটভূমি ও সহিংসতা তদন্তে একটি কমিশন গঠন করেছেন। আগামী ৫ মার্চ ২০২৬ তারিখে নেপালে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নেপালের এই আন্দোলন মূলত নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক চেতনার জাগরণ—যেখানে দুর্নীতি, কর্মসংস্থানের সংকট, নির্বাচনী জবাবদিহিতা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের মতো ইস্যু তরুণদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছে।