1. news@panchakhandaeye.com : পঞ্চখণ্ড আই : পঞ্চখণ্ড আই
  2. info@www.panchakhandaeye.com : পঞ্চখণ্ড আই :
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন

চিকিৎসা সম্মেলনে অংশ নিতে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন চিকিৎসক মাসুম আহমদ

আতাউর রহমান : শিক্ষাবিদ, কলামিস্ট ও সমাজচিন্তক।
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

আতাউর রহমান :
বিয়ানীবাজার চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ও বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা: মাসুম আহমদ আগামী ১৯ জুন হতে ২২ জুন পর্যন্ত থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এক চিকিৎসা সেমিনারে অংশগ্রহণ করবেন।

ডা: মাসুম আহমদ পেশাগত জীবনে যেমন অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন, ঠিক তেমনি সামাজিক ও মানবিক অঙ্গনেও তাঁর পদচারণা সমানভাবে অনুপ্রেরণাদায়ক। করোনা মহামারীর দুর্যোগকালে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে অগণিত রোগীর জীবনরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। সাহস ও মানবিকতা নিয়ে নিরলসভাবে অসুস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন “করোনা যোদ্ধা” ও “আর্থমানবতার ফেরিওয়ালা।”

সমাজসেবায় অঙ্গনজুড়ে রয়েছে তাঁর অমৃতধারা। চিকিৎসাসেবার বাইরে তিনি সামাজিক দায়বদ্ধতা ও অঙ্গীকারকে অগ্রাধিকার দিয়ে চলেন নিরন্তর। তাঁর এই মহৎ কাজ ও অঙ্গনিবেদন নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা ও পথ প্রদর্শন করে যাচ্ছে।

বিশেষ করে, চিকিৎসক মাসুম আহমদ তাঁর জীবনের শুরু থেকেই শিক্ষকদের সাথে ঘনিষ্ঠ ও শ্রদ্ধাশীল সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন। যে কোনো প্রয়োজনে ও দুর্যোগে তিনি শেরপার মতো অগ্রবর্তী হন তাঁদের কল্যাণে। শিক্ষকদের মর্যাদা ও অবদানকে গভীরভাবে অনুধাবন ও সমাদর করার এই মানসিকতা আজকাল দুর্লভ হলেও তাঁর জীবন ও আচরণের মধ্য দিয়ে তা জীবন্ত হয়ে উঠেছে।

উল্লেখযোগ্য যে, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে তিনি লণ্ডনে অনুরূপ অপর একটি চিকিৎসা সেমিনারেও অংশগ্রহণ করেছিলেন।

বিয়ানীবাজার উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষাবিদ আতাউর রহমান এর পক্ষ থেকে চিকিৎসক মাসুম আহমদকে আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সেমিনারে অংশগ্রহণের অগ্রিম শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানানো হচ্ছে। আশাবাদ ব্যক্ত করা হচ্ছে যে এই অভিজ্ঞতা তাঁর পেশাগত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং তা আবারও অর্পিত হতে পারবে সাধারণ মানুষ ও চিকিৎসাসেবায়।

ডা: মাসুম আহমদ এর জন্ম ১৯৭৮ সালের ৭ই এপ্রিল বিয়ানীবাজার পৌরসভার ফতেহপুর গ্রামে। তাঁর পিতার নাম ফুরকান আলি ও মাতার নাম জয়নুর বিবি। তিনি খলিল চৌধুরী আদর্শ বিদ্যানিকেতন ও পঞ্চখন্ড উচ্চ বিদ্যালয় ও সিলেট এম সি কলেজ-এ অধ্যয়ন শেষে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেছিলেন। তারপর চিকিৎসাশাস্ত্রে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন জালালাবাদ রাগিব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হতে এমবিবিএস ও শিশু চিকিৎসায় উচ্চতর প্রশিক্ষণ অর্জন করেছিলেন।

শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করার পর তিনি চিকিৎসক হিসেবে পেশাজীবন শুরু করেছিলেন বিয়ানীবাজার সরকারি হাসপাতালে। তারপর ক্রমে তিনি শিশু চিকিৎসক ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। পেশাগত জীবনের বাইরে তিনি সমাজসেবা, শিক্ষা ও চিকিৎসার মানোন্নয়ন, এবং অসহায় ও দরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদানসহ নানাবিধ মহৎ কাজে সম্পৃক্ত হন।

ডা: মাসুম আহমদ বিবাহিত। তিনি বিদুষী স্ত্রী তাহমিনা আক্তার সুমি-কে নিয়ে দাম্পত্যজীবন শুরু করেছিলেন। তিনি দু’পুত্র ও এক কন্যাসন্তানের জনক — বড় ছেলে তৌফিক উমর আলী, ছোট ছেলে তাহসিন উমর আলী ও একমাত্র মেয়ে মাহরিন আহমদ। পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন সবাই তাঁর মহৎ কাজে অনুপ্রেরণা ও সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।

প্রচারবিমুখ ও সদালাপী এই চিকিৎসক বড় মনের মানুষ হিসেবে সমাদৃত। তাঁর মনে রয়েছে অমৃতসম ভালোবাসা ও মানবসেবার অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ জীবন। তাঁর তারুণ্যসূলভ আচরণ ও নির্মল হাসিতে যে কারো মন ভালো হয়ে যায়।

Leave a Reply

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট