প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চার দিনের লন্ডন সফরকে বহুমাত্রিক ও গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন তাঁর প্রেস সচিব শফিকুল আলম। শুক্রবার রাত পর্যন্ত চলা এই সফর সম্পর্কে তিনি তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তথ্য ও অর্জনগুলো প্রকাশ করেছিলেন।
প্রেস সচিবের ভাষ্যে, লন্ডন সফরকালে অধ্যাপক ইউনূস ও ব্রিটেনের রাজা চার্লসের মধ্যবর্তী ৩০ মিনিটের একান্ত বৈঠকটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এই সাক্ষাৎকে তিনি “জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি” হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।
শফিকুল আলম আরও বলেন, লন্ডন সফর চলাকালে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতা ও দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নেতা তারেক রহমানের সাথে ঐতিহাসিক বৈঠক সম্পন্ন হয়। তিনি এই মুহূর্তকে ষড়যন্ত্রকারীদের “গেম ওভার” বলেও অভিহিত করেছিলেন।
ব্রিটেনের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (NCA) বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজনের মালিকানাধীন ৩২০টি সম্পত্তিতে বাজেয়াপ্ত আদেশ জারি করেছে বলেও উল্লেখ করা হয় পোস্টে। শফিকউল আলম বলেন, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদদের জন্য এটি একটি সুস্পষ্ট বার্তা, এবং সম্পদ পুনরুদ্ধার ও দুর্নীতি দমনে অধ্যাপক ইউনূস ও অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকারকে প্রকাশ করে।
পোস্টের শেষ অংশে তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে ব্রিটিশ মন্ত্রী, আইনপ্রণেতা ও কর্মকর্তাদের সাথে বাংলাদেশের গভর্নর ও দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধানের ক্রমাগত বৈঠকের মাধ্যমে সম্পদ ফেরত ও দুর্নীতি দমন আরও জোরদার হচ্ছে। এছাড়াও তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেছিলেন যে এই অভিজ্ঞতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও দুর্নীতিবিরোধী লড়াইকে সুসংহত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে নতুন আশার সৃষ্টি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছিলেন প্রেস সচিব।