1. news@panchakhandaeye.com : পঞ্চখণ্ড আই : পঞ্চখণ্ড আই
  2. info@www.panchakhandaeye.com : পঞ্চখণ্ড আই :
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিনিয়োগ শিক্ষা: বিএসইসির নতুন উদ্যোগ কানাডায় বিয়ানীবাজার সমিতির দোয়া অনুষ্ঠানে ‘স্বৈরাচার’ মন্তব্যে প্রবাসী সমাজে উত্তেজনা বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে অগ্নি নির্বাপন প্রশিক্ষণ : বিএনসিসি সদস্যদের হাতে-কলমে অনুশীলন সিলেটের প্রাথমিক শিক্ষা টালমাটাল : ১২ উপজেলায় ২০০’র বেশি শিক্ষক বিদেশে ও দেড় হাজার পদ শূন্য বিয়ানীবাজার ঐক্য ও মানবতার জনপদ: প্রতিবন্ধী আবিদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ বিয়ানীবাজারবাসীকে লজ্জিত করেছে বিয়ানীবাজারে প্রতিবন্ধী মোটরবাইক চালকের ওপর শ্রমিকদের সংঘবদ্ধ হামলা: উত্তাল এলাকাবাসীর ১২ ঘণ্টার আলটিমেটাম বিয়ানীবাজারে বাশিস ও যৌথ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত খশির গ্রামে গৃহপরিচারিকার রহস্যজনক মৃত্যু : গলায় ফাঁস দেয়া তরুণীর মরদেহ উদ্ধার মানবতার পাঁচ স্তম্ভ : যাদের ওপর ভর করে মানুষ হয় প্রকৃত মানব বিয়ানীবাজারে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি গঠন

বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা সংশোধন : নতুন অধ্যাদেশে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ শ্রেণি যুক্ত

পঞ্চখণ্ড আই রিপোর্টিং ডেস্ক
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫
  • ১১৫ বার পড়া হয়েছে

পঞ্চখণ্ড আই রিপোর্টিং ডেস্ক :

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইন সংশোধন করে সরকার ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দের সংজ্ঞা পুনর্নির্ধারণ করেছে। ২০২৫ সালের ৩ জুন রাতে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করে।

নতুন সংজ্ঞা অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাঁরা সরাসরি রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন, প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, কিংবা ভারতের ক্যাম্পে গিয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, তাঁরা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে গণ্য হবেন। এ তালিকায় সশস্ত্র বাহিনী, ইপিআর, পুলিশ, মুক্তিবাহিনী, কিলো ফোর্স, নৌ কমান্ডো, আনসার, মুজিবনগর সরকার কর্তৃক স্বীকৃত বাহিনীর সদস্য, এবং নির্যাতিত নারী (বীরাঙ্গনা) ও যুদ্ধকালীন চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক-নার্সরাও অন্তর্ভুক্ত।

অন্যদিকে, যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অস্ত্র হাতে না নিয়ে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছেন, তাঁদের ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে পৃথক শ্রেণিতে রাখা হয়েছে। এই শ্রেণিতে পাঁচটি গোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত:

১. বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে নিয়োজিত বাংলাদেশি পেশাজীবী।

২. মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারী, চিকিৎসক, নার্স ও সহকারীরা।

৩. তৎকালীন এমএনএ ও এমপিএ, যাঁরা গণপরিষদ সদস্য হয়েছিলেন।

৪. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী-কলাকুশলী ও সাংবাদিকরা।

৫. স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যরা।

নতুন অধ্যাদেশে মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ও জাতীয় চার নেতাকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তবে মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তারা হবেন ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’।

অধ্যাদেশে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে—এটি কোনো বাতিল নয়, বরং সংজ্ঞার পুনর্বিন্যাস। যাঁরা ইতিমধ্যে কোনো সুবিধা পাচ্ছেন, তাঁরা তা পেতে থাকবেন।

এই আইনি সংশোধনীকে কেন্দ্র করে ‘মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাতিল’–সংক্রান্ত কিছু ভুয়া তথ্য ছড়ালে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী স্পষ্ট করে জানান—এটি “ফেইক নিউজ” এবং প্রকৃতপক্ষে মুজিবনগর সরকারের সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে কাউকে বাতিল করা হয়নি। শুধু সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। যিনি যে সুবিধা পাচ্ছেন, তিনি সেই সুবিধা পাবেন। শুধু যাঁরা সরাসরি রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন, তাঁরা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হবেন। অন্যরা হবেন ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’।

নতুন অধ্যাদেশে শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে বিবেচিত হবেন।

Leave a Reply

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট