পঞ্চখণ্ড আই ডেস্ক : সিলেট বিভাগ দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার—এমন অভিযোগ তুলে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতে ইসলামীর আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার উন্নয়নের নামে কেবল দুর্নীতি ও লুটপাট চালিয়েছে। উন্নয়নের ফানুস উড়িয়ে তারা জাতির সঙ্গে তামাশা করেছে। এর ফলে আজ সিলেটবাসী সীমাহীন ভোগান্তির শিকার।”
তিনি বলেন, সিলেটের প্রতিটি সড়ক এখন যেন এক একটি ‘মরণফাঁদ’। বর্ষা মৌসুমের প্রাক্কালে খানাখন্দে ভরা রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে অন্তঃসত্ত্বা নারীরাও চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এসব কারণে শুধু সময় নয়, অপচয় হচ্ছে অর্থ ও কর্মঘণ্টাও।
বিবৃতিতে সেলিম উদ্দিন সিলেট বিভাগে জরুরি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে বলেন, “ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ছয় লেনের কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। পাশাপাশি সিলেট-তামাবিল সড়কের কাজ শুরু এবং সিলেট-আখাউড়া রেলপথকে ডাবল লাইনে রূপান্তরের উদ্যোগ নিতে হবে।”
তিনি ওসমানী বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজ, সিলেট জেলা হাসপাতাল এবং ওসমানী মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন ও বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি জানান। একইসঙ্গে মৌলভীবাজারে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ নিয়ে নিজের হতাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “সিলেট-গোলাপগঞ্জ-সুতারকান্দি পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা, শেওলা সেতু থেকে বারিগ্রাম পর্যন্ত রাস্তা সম্প্রসারণ, বহরগ্রাম-শিকপুর সেতু নির্মাণ, বাঘা সেতু নির্মাণসহ স্থানীয় সড়কগুলো দ্রুত মেরামত করতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জে মানসম্পন্ন কোনো হাসপাতাল নেই। অবিলম্বে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের আবাসন সমস্যা সমাধান করতে হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ এবং স্কুল-কলেজ সংস্কারও জরুরি।”
বিবৃতির শেষে মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেন, “সুরমা-কুশিয়ারা নদী ভাঙন রোধে কার্যকর প্রকল্প এবং ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ প্রদানের উদ্যোগ নিতে হবে। ইনসাফের খাতিরে সিলেটের গ্যাস সিলেটবাসীকেই আগে দিতে হবে।”