আতাউর রহমান :
সাম্প্রতিক সময়ে বিয়ানীবাজারের দু’জন পরিচিত ব্যক্তিত্ব—সাংবাদিক হাসানুল হক উজ্জ্বল এবং উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারি সরোয়ার হোসেন’র ফেসবুক স্টেটাস ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু উত্তপ্ত প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। এসব স্টেটাস নিয়ে নানা ব্যাখ্যা, মন্তব্য ও পাল্টা মন্তব্যের মধ্য দিয়ে একটি বিভ্রান্তিকর পরিবেশ তৈরি হলেও, সচেতন নাগরিকরা বিষয়টিকে শান্তিপূর্ণভাবে মোকাবেলার আহ্বান জানিয়েছেন।
দু’ জনই নিজ নিজ ক্ষেত্রে সুপরিচিত—একজন গণমাধ্যমের একজন সক্রিয় প্রতিনিধি, অন্যজন রাজনৈতিক অঙ্গনের অভিজ্ঞ নেতা। মতপার্থক্য থাকতেই পারে, তবে সেটি যেন কখনোই ব্যক্তি বিদ্বেষ বা সামাজিক অস্থিরতার দিকে না যায়—এই বার্তাই ছড়িয়ে পড়ছে নানা মহল থেকে।
বিয়ানীবাজারের একাধিক বিশিষ্ট নাগরিক বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অবশ্যই রয়েছে। তবে সেটি যেন শালীনতা ও দায়িত্বশীলতার মধ্যে থাকে—এটা প্রত্যেকেরই কাম্য।”
তারা আরও বলেন, বিয়ানীবাজার একটি ঐতিহ্যবাহী ও প্রগতিশীল জনপদ। এখানে মতের ভিন্নতা থাকবে, থাকবে মতবিনিময়ও। তবে তা যেন সামাজিক ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্য নষ্ট না করে, বরং গণতান্ত্রিক চর্চাকে আরও সমৃদ্ধ করে।
এদিকে, বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারি সরোয়ার হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, সাংবাদিক হাসানুল হক উজ্জ্বল ভাইয়ের সাথে আমার মনের কোন অমিল নেই। মতের অমিল থাকতেই পারে। রাজনীতিতে ব্যক্তিগত বিষয় কাম্য নয়। আমার শব্দ চয়নে আমি দু:খিত। অপরদিকে, প্রবাসে বসবাসরত সাংবাদিক হাসানুল হক উজ্জ্বল এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করে সংযোগ পাওয়া যায়নি। তবে উভয় ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ মহল থেকে জানা গেছে, তারা নিজেদের বক্তব্য নিয়ে কোনো ধরনের অপব্যাখ্যা বা নেতিবাচক প্রচারণা পছন্দ করেন না এবং সব সময় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পক্ষে।
সাধারণ মানুষও আশা করছেন, ফেসবুক স্টেটাস ঘিরে উদ্ভূত ভুল বোঝাবুঝি অচিরেই নিরসন হবে এবং বিয়ানীবাজারের সামাজিক সম্প্রীতির ঐতিহ্য আরও দৃঢ় হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোক দায়িত্বশীল মতবিনিময়ের ক্ষেত্র—এমনটাই প্রত্যাশা সচেতন নাগরিক সমাজের।