পঞ্চখণ্ড আই ডেস্ক : সিলেটের দক্ষিণ সুরমার একটি পার্কে অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ১৬ কিশোর-কিশোরী আটক করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা রিসোর্টিতে ব্যাপক ভাঙচুর করে কয়েকটি কক্ষে আগুন ধরিয়ে দেয়।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার থানাধীন রিজেন্ট পার্ক ও রিসোর্টে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন রুম থেকে তাদের আটক করেন। পরবর্তীতে তাদের পরিবারের জিম্মায় আটজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ও বাকি আটজনকে স্থানীয় কাজী ডেকে বিভিন্ন পরিমাণের দেনমোহর ঠিক করে বিয়ে দিয়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিষয়টি পঞ্চখণ্ডআই.কমকে নিশ্চিত করেছেন মোগলাবাজার থানার ওসি মো. খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান। আটক কিশোর-কিশোরীরা সিলেটের বিশ্বনাথ ও ফেঞ্চুগঞ্জ, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর এবং মৌলভীবাজারের বাসিন্দা। আটক ছেলেমেয়েদের বয়স ১৬ থেকে ২১ বছরের মধ্যে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলাম এলাকার রিজেন্ট পার্ক এন্ড রিসোর্টে উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে অসামাজিক কার্যকলাপ সংঘটিত হওয়ার অভিযোগ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নামে পার্ক হলেও এখানে তরুণ-তরুণীরা অবৈধ মেলামেশায় লিপ্ত থাকেন। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও প্রেমিক-প্রেমিকারা এসব কক্ষ ভাড়া নিয়ে নিরাপদে অসামাজিক কার্যকলাপ করেন। রোববার দুপুর ২টার দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে পার্কে হানা দিয়ে তাদের কক্ষের ভেতরেই আটক করেন। এই ঘটনার খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আটককৃতদের মধ্যে আটজনকে স্থানীয় কাজীর মাধ্যমে বিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সিলাম এলাকার বাসিন্দা কাজী মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে আমি ৪টি বিয়ে পড়িয়েছি। ছেলেমেয়ে ও তাদের পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে পড়ানো হয়েছে। ৩টি বিয়ে ১০ লাখ টাকার কাবিন ও ১টি ১২ লাখ টাকার কাবিনে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে তারা গিয়ে জানতে পারে, আপত্তিকর অবস্থায় বিভিন্ন কক্ষ থেকে ১৬ কিশোর-কিশোরীকে আটক করেছে স্থানীয়রা। পরে এলাকার মুরুব্বিরা তাদের অভিভাবকদের খবর দিয়ে তাদের জিম্মায় ফিরিয়ে দেন। এতে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যব্স্থা নেওয়ার প্রস্তুতিও পুলিশের রয়েছে।