1. news@panchakhandaeye.com : পঞ্চখণ্ড আই : পঞ্চখণ্ড আই
  2. info@www.panchakhandaeye.com : পঞ্চখণ্ড আই :
মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৩:২২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
ইতিকাফের আমল ও তার ফজিলত : আতাউর রহমান যাকাতের খুঁটিনাটি : আতাউর রহমান HIT/ AHIT প্রশিক্ষণে চার উপজেলার প্রশিক্ষণে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি পেলেন বিয়ানীবাজার উপজেলার তিন প্রতিষ্ঠান প্রধান সমবায় মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি, বিয়ানীবাজারে জাঁকজমকপূর্ণ অভিষেক তেরাদল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজাম স্যার আর নেই নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা পদে যুক্ত হচ্ছেন অধ্যাপক সি আর আবরার নতুন ছাত্র সংগঠনের আত্মপ্রকাশ : নতুন কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা হাফিজ মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম-এর মাতৃবিয়োগে শোক ২ মার্চ থেকে বিশাল ছুটিতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাষার মাসে পুরস্কার বিতরণ: জীবন একটি প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র। যেখানে নিজেকে তৈরি করতে হয় প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে: প্রধান শিক্ষক

একটি প্রকাশিত সংবাদের পোস্টমর্টেম

আতাউর রহমান (শিক্ষাবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট)
  • প্রকাশিত: রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪
  • ১৭০ বার পড়া হয়েছে

|| আতাউর রহমান ||
জনগণের কাছে সমাজের নানা ত্রুটিবিচ্যুতি তুলে ধরার মাধ্যমে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। মানুষের জানার অধিকার বা আগ্রহ থেকে আমাদের সমাজে সংঘটিত নানা অপরাধ ও ত্রুটিবিচ্যুতি গণমাধ্যমে সংবাদ হিসেবে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়।সমাজ বা রাষ্ট্রে কোনো ব্যক্তির অপরাধ থেকে রাষ্ট্রীয় অপরাধ- সবই সংবাদের উপজীব্য বিষয়। এ থেকে অনুধাবন করা যায়, রাষ্ট্র কিংবা সমাজের ওপর গণমাধ্যমের প্রভাব কতটা শক্তিশালী।

গণমাধ্যম-সমালোচকদের মতে, গণমাধ্যম থেকে আসা সংবাদের বেশির ‘ভাগই ‘অপরাধ’ সংক্রান্ত। সমাজে নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকে। আকারে কোনোটি বড়ো আবার কোনোটি ছোটো। এরই ধারাবাহিকতায় সাপ্তাহিক আগামীপ্রজন্ম পত্রিকা পোর্টালে গত ২৬ ও ২৭ জুন দু’টি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সংবাদটি প্রচারিত হলে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু নিয়ে বিয়ানীবাজার জুড়ে বেশ আলোচনা শুরু হয়। প্রকাশিত সংবাদে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মৌলুদুর রহমান টানা ৫ বছরে কমপক্ষে ২ কোটি টাকা ঘুস নিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। একইসাথে তাঁর ক্ষমতার অপব্যবহার, দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনায় স্বচ্ছাচারিতা, অনুষ্ঠানাদির সরকারি বরাদ্দ আত্মসাৎ-সহ বহুমুখি অভিযোগ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই সঙ্গত কারণে যাচাই-বাছাই ছাড়া কোন মন্তব্য এখানে করতে চাই না।

তবে খবরের সত্যতা কতটুকু তা কর্তৃপক্ষের তদন্তের উপর নির্ভরশীল। তবে সাক্ষাতে আত্মপক্ষ সমর্থন নিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত অভিযোগকে বানোয়াট, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন বিয়ানীবাজার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মৌলুদুর রহমান।

গত ২৭ ও ৩০ জুন পত্রিকান্তরে প্রকাশিত সংবাদটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।ফলে ছড়ানো পোস্ট পাঠকের নজরে আসে। যতদূর জানা যায়, এ সংবাদের সূত্রপাত বিয়ানীবাজার পৌরসভার একটা স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত পরবর্তী শুরু । তবে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ বোর্ডের বিধিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত একটা নিয়োগ বোর্ড রয়েছে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের সভাপতি ও সচিব এর চাহিদা মোতাবেক বোর্ডের সকল সদস্যগণ সর্বসম্মতভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থী নির্বাচনে ভূমিকা পালন করে থাকেন। এক্ষেত্রে এককভাবে কোন সদস্য এ দায়িত্ব সম্পাদনের সুযোগ নেই। তবে অজ্ঞাতসারে কারো দোষ প্রমাণিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কাউকে দোষারোপ করার সুযোগ এ আলোচনায় খুবই ক্ষীণ। তবে সকলেরই মনে রাখা উচিত, যত্রতত্র কামাই করে হয়তো ধনবান হওয়া যায়; কিন্তু মযার্দাবান হওয়া যায় না।

পাঠকদের প্রশ্ন জাগতে পারে, সন্দেহের তীর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের দিকে এলো কি করে? কি এমন রহস্য লুকিয়ে আছে, তা ওতো খতিয়ে দেখার বিষয়। সময় এর উত্তম বিচারক। আমরা সকলেই জানি, সাধারণত একই স্থানে দীর্ঘদিন অবস্থান করা কারো জন্য সুখকর হয় না। নানা সুযোগ সুবিধার কারণে এক সময় সেবাগ্রহীতাদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়। সেই নিরীখে সরকারি চাকুরীতে তিন বছর অন্তর অন্তর স্থানান্তরের রীতিও রয়েছে।

সংবাদ প্রকাশের পর বদলির তদবির শুরু করছেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মৌলুদুর রহমান। হয়তো তিনি ট্রান্সফার হয়ে যেতে পারেন। সেটাও কতৃপক্ষের বিচার্য্য বিষয়।

প্রকাশিত এ সংবাদের সাথে শিক্ষকদের সংশ্লিষ্টতা কোনক্রমেই মানানসই নয়। ঘটনার সত্য-মিথ্যা সবই প্রমাণ সাপেক্ষ বিষয়। তবে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সাথে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সম্পর্ক থাকা স্বাভাবিক ব্যাপার। প্রতিবেদনে উল্লেখিত শিক্ষকের বাড়ি ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এর বাড়ি বড়লেখা এলাকায়। সেই সুবাদে নিয়মিত একটা যোগাযোগ থাকতেই পারে। তাই কোনক্রমেই এ যোগাযোগকে সন্দেহের চোখে দেখা সমুচিত নয়।

সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ২৯ জুন ২০২৪খ্রি. আগামিপ্রজন্ম’র দেয়া স্টেটাসে উল্লেখ করা হয়েছে, “দাবা খেলা শেষ হওয়ার পরে রাজা এবং সৈনিকদের একই বাক্সে রাখা হয়। পদ, পদবী, উপাধি, শান-শাওকাত সবই অস্থায়ী। মানুষের ভালোবাসাটা স্থায়ী, বিনয় ও সদাচরণ দিয়ে যা অর্জন করতে হয়।”

তাই বলতে চাই, শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতা দুটোই মহান পেশা। কিন্তু পেশা হিসেবে দুটো আলাদা হলেও উভয় পেশাই সম্মানের । তুলনামূলকভাবে সাংবাদিকতার চেয়েও মহান পেশা শিক্ষকতা। আজ যিনি সাংবাদিক, শিক্ষাজীবনে তিনিও শিক্ষা গ্রহণ করেছেন কোনো না কোনো শিক্ষকের কাছে। শিক্ষকতা নিছক চাকরি নয়, মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে নিরন্তর সাধনার বিষয়। শিক্ষকরা জাতি গঠনের মূল চালিকা শক্তি। পক্ষান্তরে সাংবাদিকতা সৃজনশীল পেশা। এই পেশাটিও নিরন্তর চর্চার বিষয়। মননশীল এই পেশায় সার্বক্ষণিক সময় দিতে হয়। সাংবাদিকতা হচ্ছে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সাংবাদিকরা নিজের খেয়ে অন্যের গুণগান গায়। তাই শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতায় সন্দেহ থাকুক, সে চিন্তা করতেই চাই না। কারণ, সাংবাদিকও কোন না কোন শিক্ষকের শিক্ষার্থী ছিলেন। সকল মহান ব্রত চিরঞ্জীব হোক। সকল অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপসংস্কৃতি দূর হোক।

Leave a Reply

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট