
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়কে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন। বিবিসি তার পাঁচ পৃষ্ঠার লিখিত বিবৃতির কিছু অংশ প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিস্ক্রিয় করতে এবং তাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কৌশলের অংশ হিসেবেই তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনা এর আগে বিচারকে ‘প্রহসন’ বলে আখ্যা দেন এবং তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত এমন ট্রাইব্যুনালে তিনি অভিযোগকারীদের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। তিনি আরও জানান, তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত—আইসিসিতে বিষয়টি নিতে চ্যালেঞ্জ করেছেন। নিজের মানবাধিকার ও উন্নয়নচর্চার রেকর্ড নিয়ে তিনি গর্বিত বলেও উল্লেখ করেন।
এর আগে সোমবার (১৭ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চব্বিশের জুলাই–আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। একই মামলায় রাজসাক্ষী হওয়ায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ ছাড়া আদালত অবমাননার পৃথক এক মামলায় ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে। চলতি বছরের শুরুতে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া তার একটি অডিও ক্লিপ—যেখানে তিনি বলেন, ‘২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’—বিচারপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার প্রচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করে প্রসিকিউশন এ মামলা দায়ের করে। সেই মামলাতেও ট্রাইব্যুনাল তাকে দোষী সাব্যস্ত করে।