1. news@panchakhandaeye.com : পঞ্চখণ্ড আই : পঞ্চখণ্ড আই
  2. info@www.panchakhandaeye.com : পঞ্চখণ্ড আই :
বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
শিক্ষকদের উপর পুলিশি নির্যাতনের নিন্দা: ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে বিয়ানীবাজারে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি বিয়ানীবাজারে এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীদের মানববন্ধন কাল বুধবার অধ্যাপক সাব্বীর আহমদ: একনিষ্ঠ শিক্ষাধর্ম ও বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের নব প্রত্যাশা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ভাতা আবেদন শুরু বিয়ানীবাজারে বাশিসের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত : পুলিশের নির্যাতনের প্রতিবাদে কাল থেকে কর্মবিরতি শুরু আজ বেলা ২টা ১৫ মিনিটে দাসউরা মাদ্রাসা মাঠে সাবেক চেয়ারম্যান এমাদ উদ্দিনের জানাজা বিয়ানীবাজারে ৭ম মাসিক জুঁই প্রকাশ সাহিত্য আড্ডা: গল্প-কবিতার মেলবন্ধনে প্রাণবন্ত সন্ধ্যা দাসউরার সাবেক চেয়ারম্যান এমাদ উদ্দিন আর নেই ৩০ নভেম্বরের আগে শিক্ষাঙ্গনের ভোটযুদ্ধ : সিলেটের স্কুল-মাদ্রাসায় চলছে ম্যানেজিং কমিটি পুনর্গঠনের তোড়জোড় জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের সময় নিয়ে অনিশ্চয়তা: ২২ দলের ঐকমত্য বৈঠক শেষ

ডাবের পানি সবার জন্য জরুরি নয়: যেসব মানুষের এড়িয়ে চলা উচিত

পঞ্চখণ্ড আই ডেস্ক
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

পঞ্চখণ্ড আই ডেস্ক :
ডাবের পানি অনেকের কাছে একধরনের সুপারড্রিংক। এতে ক্যালোরি কম, প্রচুর ইলেকট্রোলাইট থাকে, গরমে শরীর ঠান্ডা রাখে, হজমে সহায়তা করে, এমনকি ত্বকের জন্যও উপকারী। তবে এত উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও এটি সবার জন্য সমান নিরাপদ নয়। কিছু মানুষের শরীরের অবস্থা অনুযায়ী ডাবের পানি খেলে উপকারের বদলে ক্ষতিও হতে পারে। নিচে এমন ৬ ধরনের মানুষের কথা বলা হলো, যাদের ডাবের পানি এড়িয়ে চলাই ভালো—

১. ডায়াবেটিস রোগী

ডাবের পানিতে প্রাকৃতিক চিনি থাকে—২০০ মিলিলিটারে প্রায় ৬–৭ গ্রাম। নিয়মিত বা বেশি পরিমাণে পান করলে এটি রক্তে শর্করা বাড়াতে পারে। বিশেষত প্যাকেটজাত ডাবের পানিতে বাড়তি চিনি মেশানো থাকতে পারে। তাই ডায়াবেটিস থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডাবের পানি খাওয়া উচিত।

২. যাদের অ্যালার্জি আছে

ডাবের পানিতে অ্যালার্জির ঝুঁকি খুব বেশি নয়, তবে কিছু মানুষের ত্বক বা শরীরে প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে—চুলকানি, ফোলা, লাল হয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট বা হজমের সমস্যা। গুরুতর ক্ষেত্রে অ্যানাফিল্যাক্সিস পর্যন্ত হতে পারে। যাদের বাদামে অ্যালার্জি আছে, তাদের ডাবের পানি খাওয়ার আগে সতর্ক থাকা উচিত।

৩. কিডনি রোগী

ডাবের পানি পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ। কিডনির সমস্যা থাকলে শরীর অতিরিক্ত পটাশিয়াম বের করতে পারে না। এতে রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে (হাইপারক্যালেমিয়া) পেশি দুর্বলতা, বমি বমি ভাব, এমনকি হৃদস্পন্দন বন্ধ হওয়ার মতো মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।

৪. ঠান্ডা-সর্দি বা ফ্লু হলে

ডাবের পানি শরীর ঠান্ডা করে। গরমে উপকারী হলেও ঠান্ডা লাগা, ফ্লু বা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সময় এটি খেলে শ্লেষ্মা (কফ) বেড়ে শরীর আরও ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে।

৫. উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ সেবনকারী রোগী

ডাবের পানি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করলেও এতে পটাশিয়াম বেশি থাকে। অনেক উচ্চ রক্তচাপের ওষুধও শরীরে পটাশিয়াম বাড়ায়। একসঙ্গে দু’দিক থেকে পটাশিয়াম বেড়ে গিয়ে মারাত্মক জটিলতা তৈরি করতে পারে। তাই এ ধরনের রোগীদের ডাবের পানি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

৬. যাদের ইলেকট্রোলাইট সীমিত ডায়েটের প্রয়োজন

হৃদরোগ বা কিডনির সমস্যায় ডাক্তাররা অনেক সময় পটাশিয়াম, সোডিয়াম বা ম্যাগনেশিয়াম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বলেন। ডাবের পানিতে এই উপাদানগুলো বেশি থাকায় এ ধরনের ডায়েটে থাকা ব্যক্তিদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ। এতে শরীরের ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে ক্লান্তি, পেশিতে টান বা হৃদস্পন্দনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

শেষ কথা
ডাবের পানি উপকারী, তবে সবার জন্য নয়। উপরোক্ত সমস্যাগুলির যেকোনোটি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ডাবের পানি খাবেন না। মনে রাখবেন—ভালো জিনিসও তখনই উপকারী, যখন শরীরের প্রয়োজন ও পরিস্থিতি অনুযায়ী গ্রহণ করা হয়।

Leave a Reply

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট