1. news@panchakhandaeye.com : পঞ্চখণ্ড আই : পঞ্চখণ্ড আই
  2. info@www.panchakhandaeye.com : পঞ্চখণ্ড আই :
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৭:১৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
গ্যাসক্ষেত্রের শহর, গ্যাসবঞ্চিত নাগরিক: বিয়ানীবাজারের দীর্ঘশ্বাস কলেজ চলাকালীন কোচিং বন্ধে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ অধ্যক্ষের কড়া নির্দেশনা বিয়ানীবাজারে শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে আয়াতুল্লাহ খামেনির বিজয়-ঘোষণা আজ থেকে শুরু এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পৃথিবীর সর্বনাশের জন্য দায়ী আমরাই”—বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ড. ইউনূসের হুঁশিয়ারি চার দশকের পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার প্রতিচ্ছবি- মোঃ নজরুল হক শিকাগোতে ডায়াবেটিস সম্মেলনে ডা. শিব্বির আহমদ সুহেল এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায্য দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ই-ক্যাশবুক: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আর্থিক স্বচ্ছতার প্রেক্ষিত ও প্রতিক্রিয়া

অভিমত : এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বৈষম্য নিরসন হোক

আতাউর রহমান (শিক্ষাবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট)
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৪
  • ৩৭৫ বার পড়া হয়েছে

আতাউর রহমান : স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ছিল বৈষম্যের অবসান ও ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করা। অথচ স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন ও জাতীয়করণের দাবি বারবার অবহেলিত হয়েছে।

সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে একই শিক্ষাক্রম, একই সিলেবাস, একই পরীক্ষা, একই কর্মঘণ্টা পড়ানো হলেও বেতন বৈষম্য আকাশ সমান।

এক পরিসংখ্যানে জানা আয়, সারাদেশে এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা- কারিগরি মিলিয়ে ৩৯,০৯২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১ কোটি ৬৩ লক্ষ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। তাদের শিক্ষাদানে প্রায় ৬ লক্ষ শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত। এসব প্রতিষ্ঠানে দেশের খেটে খাওয়া দিন-মজুর, শ্রমিক, নিম্ন শ্রেনী, মধ্যবর্তী সহ নানান পেশাজীবির সন্তানরা পড়াশোনা করছে।

কিন্তু বিগত ১৭ বছরে এসব এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে পদে পদে বঞ্চিত করা হয়েছে। দেশের শিক্ষকদের অবহেলা করে, মর্যাদাহীন রেখে একটি জাতি কিভাবে মর্যাদার আসনে আসীন হতে পারে!

বিভিন্ন প্রকল্প ও প্রশিক্ষনের নামে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের কোটি কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। কিন্তু শিক্ষকদের ন্যায্যতা অবহেলিত রয়েছে।

আমাদের নতুন অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যার’র নিজ হাতে ন্যাস্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাই বৈষম্য দূরীকরণে আপনার সানুদৃষ্টি শিক্ষক-কর্মচারীদের কাম্য। সেই নিরিখে ৮টি ন্যায্য দাবি সবিনয়ে পেশ করা হলোঃ

Π ন্যায্য দাবিগুলো হলো:
১. নতুন শিক্ষাক্রম থেকে পুরাতন শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়া ও শিক্ষক সংকট দূর করা।

২. এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা (EFT) ইএফটির মাধ্যমে প্রদান করা।

৩. বৈষম্য দূরীকরণে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন ষষ্ঠ গ্রেডে ও সহকারী প্রধানদের বেতন সপ্তম গ্রেডে প্রদান করা।

৪. বিগত ২০ বছর যাবৎ চলমান উৎসব ভাতা ২৫% (শিক্ষক) এবং ৫০% (কর্মচারী) এই প্রথা বাতিল করে শতভাগ উৎসব-ভাতা প্রদান করা।

৫. অবসর-কল্যান ভাতা প্রাপ্তি ২ (দুই) মাসের মধ্যে নিশ্চিত করা।

৬. শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ীভাড়া (১০০০/-) ও চিকিৎসা ভাতা (৫০০/-) টাকা পরিবর্তন করে সরকারি নিয়মে বাড়ীভাড়া ও চিকিৎসা-ভাতা প্রদান করা।

৭. শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকুরী বয়স ৬০ থেকে ৬৫ বছরে উন্নতি করা।

৮. শিক্ষক-কর্মচারীদের সমপদে বদলির ব্যবস্থা করা।

এএমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদেকে জাতীয়করণে নিতে শুধু স্বদিচ্ছার প্রয়োজন। কোন অতিরিক্ত টাকার প্রয়োজন হবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল আয় রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা নিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা অসম্ভব কোন কাজ নয়।

Leave a Reply

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট