ক্রীড়া প্রতিবেদক : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চরম উত্তেজনার ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের হারিয়ে সুপার এইটের পথে এক পা এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। টাইগাররা জয় পায় ২৫ রানে। এই জয়ে সুপার এইট প্রায় নিশ্চিত লাল-সবুজদের।
আজকের এই লড়াই দুই দলের জন্যই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। যে লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছে টাইগাররা। তিন ম্যাচে দুই জয়ে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৪। নেদারল্যান্ডসের ২।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ওয়েস্ট ইন্ডিজের আর্নোস ভ্যালে গ্রাউন্ডে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ড। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
তবে সাকিব আল হাসানের ফিফটি ও তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে ভর করে লড়াকু পুঁজি পায় বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা।
সাকিব আল হাসান ৪৬ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া তানজিদ তামিম ২৬ বলে ৩৫ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন ২১ বলে ২৫ রান।
১৬০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু করে নেদারল্যান্ড। দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই ডাচ ওপেনার মাইকেল লেভিট, ম্যাক্স ও’দাউদ। উদ্বোধনী জুটিতে ২২ রান যোগ করেন তারা।
তাসকিন ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন। ১৬ বলে ১৮ রান করা লেভিটকে আউট করেন এই টাইগার পেসার।
এরপর দলীয় ৩২ রানে ডাচ শিবিরে আঘাত হানেন আরেক পেসার তানজিম হাসান সাকিব। ১৬ বলে ১২ রান করা ম্যাক্স ও’দাউদকে আউট করেন সাকিব। এরপর সিব্রান্ড এঙ্গেলব্রেখটকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন বিক্রমজিত সিং।
তবে দলীয় ৬৯ রানে ১৬ বলে ২৬ রান করে ফিরে যান বিক্রমজিত। তার বিদায়ের পর অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসকে সঙ্গে নিয়ে রানরেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে থাকেন এঙ্গেলব্রেখট।
দলীয় ১১১ রানে এঙ্গেলব্রেখটকে আউট করে বাংলাদেশকে স্বস্তি দেন দেন রিশাদ হোসেন। ২২ বলে ৩৩ রান করে আউট হন এঙ্গেলব্রেখট। একই ওভারে বাস ডি লিডকে আউট করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান এই লেগ স্পিনার।
এরপর দ্রুতই আরও দুই উইকেট তুলে নিয়ে হারিয়ে ডাচদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন রিশাদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান করতে সক্ষম হয় ডাচরা। বাংলাদেশের পক্ষে রিশাদ নেন ৩টি উইকেট।
১৫তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন রিশাদ। প্রথমে ৩৩ রান করা এঙ্গেলব্রেখটকে ফেরান তিনি। পরের বলে লিটন দাসের দুর্দান্ত স্ট্যাম্পিংয়ে আউট হন বাস ডি লিড। ম্যাচে আর ফিরতে পারেনি ডাচরা। আসা যাওয়ার মিছিলে ছিলেন বাকি ব্যাটাররা।
রিশাদ হোসেন নেন ৩ উইকেট। এছাড়া তাসকিন আহমেদ দুটি এবং মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের প্রত্যেকে একটি করে উইকেট শিকার করেন।