
পঞ্চখণ্ড আই ডেস্ক :
২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকা প্রকাশের পর শিক্ষাঙ্গনে নতুন করে আলোচনা তৈরি হয়েছে। এবার আগের বছরের তুলনায় ১২ দিন ছুটি কমানো হয়েছে এবং পবিত্র রমজানের অর্ধেক সময় বিদ্যালয় খোলা রেখে পাঠদান চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে শিক্ষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেক শিক্ষক মনে করছেন, রোজা রেখে নিয়মিত শ্রেণি পাঠদান কার্যকর নয় এবং পুরো রমজান মাস ছুটি থাকা উচিত।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বলছে, এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য সিলেবাস সময়মতো শেষ করা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য কার্যকর পাঠদানের দিন বাড়ানো। কর্মকর্তাদের হিসাবে শুক্রবার–শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি, সরকারি ও ধর্মীয় ছুটি, বিভিন্ন পরীক্ষা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম মিলিয়ে বছরে প্রায় ২০৫ দিন ক্লাস হয় না। ফলে বাস্তবে শিক্ষার্থীরা বছরে ১৫০ থেকে ১৬০ দিনের বেশি নিয়মিত পাঠদান পায় না। এই বাস্তবতাকে সামনে রেখেই গ্রীষ্মকালীন ছুটি কমানো এবং রমজানে দুই সপ্তাহ ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ছুটির তালিকা অনুযায়ী, রমজান ও ঈদুল ফিতর ঘিরে টানা ১৯ দিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। এছাড়া ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি মিলিয়ে টানা ১২ দিন এবং দুর্গাপূজায় ৫ দিন ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে অর্ধ-বার্ষিক, নির্বাচনি ও বার্ষিক পরীক্ষার সময়সূচিও আগেই নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, ছুটির এই পুনর্বিন্যাস শিক্ষার্থীদের নিয়মিত শ্রেণি পাঠদান নিশ্চিত করবে। তবে শিক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, সিদ্ধান্ত কার্যকরের আগে মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা ও শিক্ষকদের মতামত আরও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা প্রয়োজন।