পঞ্চখণ্ড আই ডেস্ক :
বিয়ানীবাজার মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
৩ অক্টোবর (শুক্রবার) সন্ধ্যায় হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কর্তৃপক্ষ এ প্রতিবাদ জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতালের অন্যতম উদ্যোক্তা DMF নূর নবী রাজু বলেন—
“বিয়ানীবাজারে আধুনিক চিকিৎসা সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে ২০২৫ সালের ১১ মার্চ আমাদের মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতাল যাত্রা শুরু করে। উদ্বোধনের পর থেকেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সমন্বয়ে আমরা সুনামের সঙ্গে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। হাসপাতালটিতে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন অপারেশন থিয়েটার, প্যাথলজি এবং অন্যান্য সুবিধা রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন—
“চিকিৎসা সেবা একটি স্পর্শকাতর বিষয়। কোনো হাসপাতালই চাইবে না কোনো রোগী চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হোক বা মৃত্যুবরণ করুক। কিছুদিন আগে আমাদের হাসপাতালে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা নিয়ে আমরা রোগীর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছি এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছে। কিন্তু এ ঘটনার পর অনলাইন মিডিয়ায় চিকিৎসক ফোরামের পক্ষ থেকে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে, যা আমাদের প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য অসম্মানজনক।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন—
“দুই-একটি হাসপাতালের সেবার মান ভালো বলে অন্য প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করা কি সমীচীন? আমরা উদ্বোধনের পর থেকে একাধিকবার বিয়ানীবাজার চিকিৎসক পরিষদকে আমাদের হাসপাতাল পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানিয়েছি, কিন্তু তারা সাড়া দেননি। প্রবাসীদের বিনিয়োগে গড়ে ওঠা এই প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্যে বিনিয়োগকারীরাও কষ্ট পাচ্ছেন।”
ডাক্তারদের যোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন—
“আমাদের এখানে সহকারী অধ্যাপক ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। যদি এরা ‘মলম বিক্রেতা’ হন, তবে শুধুমাত্র এমবিবিএস ডিগ্রি নিয়ে যারা চিকিৎসা দেন তারা কী বিক্রি করছেন—সেটাই জাতির কাছে প্রশ্ন।”
সংবাদ সম্মেলনে নূর নবী রাজু আরও পরিষ্কারভাবে জানান—
“আমি একজন DMF হলেও হাসপাতালের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররাই পুরো চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। রবীন্দ্রনাথের ভাষায় বলব, ‘দেখিনাই যাহা দুই নয়নে, বিশ্বাস করিনা গুরুর বচনে।’ তাই আপনারা দেখে যাচাই করুন, গুজবে কান দেবেন না।”
তিনি পরিশেষে বলেন—
“চিকিৎসা শুধু ডাক্তারদের দ্বারা হয় না, এটি একটি টিম ওয়ার্ক। সরকারি বা বেসরকারি—সব হাসপাতালের মূল উদ্দেশ্য মানুষের সেবা দেওয়া।”
সংবাদ সম্মেলনে বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।