পঞ্চখণ্ড আই ডেস্ক :
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশ পর্যায়ের শিক্ষক ছাড়া অন্যান্য এমপিওভুক্ত পদে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি নতুন পরিপত্র জারি করেছে। পরিপত্র অনুযায়ী, নিয়োগ কমিটি থেকে সুপারিশ প্রাপ্ত প্রার্থীদের জন্য নিয়োগপত্র প্রাপ্তির ১ মাসের মধ্যে পাঠানো বাধ্যতামূলক। দেরি করা হলে তা অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমপিও স্থগিতসহ বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, শূন্যপদ নিরূপণের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা, ২০২১ এবং এর সর্বশেষ সংশোধনী অনুযায়ী যথাযথ যাচাই করে শূন্য এবং নবসৃষ্ট পদগুলির বিবরণী তৈরি করতে হবে। এই তালিকা ৩১ আগস্টের মধ্যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে জেলা শিক্ষা অফিসারে অনলাইনে পাঠাতে হবে। জেলা শিক্ষা অফিসার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত চাহিদার ভিত্তিতে শূন্যপদের তালিকা তৈরি করে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাবেন। অধিদপ্তর ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উপজেলাভিত্তিক চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে। প্রাপ্যতাবিহীন পদে কোনো কর্মচারী নিয়োগ প্রস্তাবিত হলে তার পুরো দায়ভার প্রতিষ্ঠান প্রধানের উপর বর্তাবে।
ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নিয়োগ সুপারিশ প্রাপ্তির পর সভা করে রেজুলেশনের মাধ্যমে প্রার্থীদের নিয়োগপত্র পাঠাতে হবে। প্রার্থীর মোবাইল নম্বরে নিয়োগ বিষয়টি অবহিত করা বাধ্যতামূলক। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর নিয়োগপত্রের একটি টেমপ্লেট ওয়েবসাইটে আপলোড করবে। নিয়োগপত্র প্রদানে বিলম্ব হলে তা অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, শূন্যপদ নিরূপণ থেকে নিয়োগপত্র ইস্যু পর্যন্ত প্রতিটি ধাপের সকল কাগজপত্র উপজেলা শিক্ষা অফিস ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। এছাড়া, বাস্তবায়নে কোনো জটিলতা বা ব্যাখ্যার প্রয়োজন হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। ২০২৫ সালের ১০ জানুয়ারি জারি হওয়া পূর্ববর্তী সংশ্লিষ্ট পরিপত্রের অংশগুলো এই নির্দেশনার পরে রহিত বলে গণ্য হবে।