পঞ্চখণ্ড আই.কম প্রতিবেদন / বিয়ানীবাজার (সিলেট) :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্র থেকে মফস্বল পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দের মধ্যে রাজনৈতিক ঐক্য ও সম্মানজনক সহাবস্থানের অনুপস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক অভিমত প্রকাশ করেছেন মোঃ আবু নাসের পিন্টু — সাবেক সভাপতি, বিয়ানীবাজার পৌর বিএনপি এবং সিলেট জেলা বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক।
তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক টাইমলাইনে (৮ জুলাই) প্রকাশিত এক বার্তায় দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিনীতভাবে কিছু প্রশ্ন ও পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন, যা ইতোমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
বার্তায় তিনি বলেন,
“কেন্দ্রীয়, জেলা ও মহানগরের নেতারা যখন একসাথে সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেন, তখন উপজেলা ও পৌর পর্যায়ে এসে একই ঐক্য ও সংহতির অভাব কেন দেখা দেয়? কেন আমাদের মফস্বল নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা হয়?”
তিনি আরও লেখেন,
“আপনারা এমপি বা মন্ত্রী হবেন — এটি আপনাদের ব্যক্তিগত গন্তব্য হতে পারে, কিন্তু তার জন্য জনগণের আস্থা অর্জন করুন, নেতৃত্বের যোগ্যতা প্রমাণ করুন। তৃণমূল কর্মীদের ভাগাভাগি করে নিজেদের বলয় রক্ষার রাজনীতি চালানো বন্ধ করুন।”
পিন্টু তার বার্তায় আরও দাবি করেন, যদি কেন্দ্র, জেলা ও মহানগরের নেতারা তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে সম্মিলিতভাবে মতবিনিময় করেন, তবে সেটিকে কেউ ‘বিরুদ্ধ বলয়ের উদ্যোগ’ হিসেবে নেবেন কেন?
তিনি দলীয় ঐক্য বজায় রাখতে পাঁচটি স্পষ্ট বার্তা তুলে ধরেন:
১. দলীয় বিভাজন বন্ধ করুন,
২. ব্যক্তিগত বলয়ের চেয়ে দলকে অগ্রাধিকার দিন,
৩. তৃণমূল নেতাকর্মীদের সম্মান করুন,
৪. একসাথে কর্মসূচি বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিন,
৫. জাতীয়তাবাদী আদর্শের প্রকৃত চর্চা করুন।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মোঃ আবু নাসের পিন্টুর বার্তাটি ১৬২টি লাইক ও ৭১টি মন্তব্য অর্জন করেছে।
খালেদ আহমেদ খালেদ মন্তব্যে লেখেন:
“ভাই, আমাদের মধ্যে হেখরী বেশি… আমরা দলকে নয়, গ্রুপিংকে গুরুত্ব দিই। বলয়ের বাইরে কাউকে অতিথি করা নিষিদ্ধ — এটা বিরাট সমস্যা।”
মাহবুবুল আলম চৌধুরী লেখেন:
“এই বক্তব্য সময়োপযোগী ও বাস্তবসম্মত। এটি নিঃসন্দেহে দলের গঠনমূলক কর্মসূচি এবং ভবিষ্যৎ আন্দোলনের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। তৃণমূল নেতাকর্মীরা বঞ্চিত বোধ করলে বিভাজন বাড়ে, যা কোনো দলের জন্যই কাম্য নয়।”
উপসংহার
জাতীয়তাবাদী দলের তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে আসা এ ধরনের সচেতন বার্তা নিঃসন্দেহে দলের কেন্দ্রীয় ও শীর্ষ নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে বলেই প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মোঃ আবু নাসের পিন্টুর এ আহ্বান যেন দলকে বিভক্তির পথ থেকে ঐক্যের পথে ফিরিয়ে আনতে কার্যকর ভূমিকা রাখে — এমনটাই প্রত্যাশা দলের সচেতন নেতাকর্মীদের।