পঞ্চখণ্ড আই প্রতিবেদক :
আজ ২০ জুন, লাউতা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক, শিক্ষাবিদ ও সংগঠক জনাব মোঃ মতিউর রহমান মাহমুদের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৩ সালের এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেন। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে দিনটি উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জনাব মাহমুদ ১৯৪৯ সালের ১৫ জুন সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার পাতন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন দেওয়ান কটেজের প্রখ্যাত পরিবারভুক্ত। শিক্ষাজীবন শুরু করেন পাতন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরে জলঢুপ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, এম.সি. কলেজ থেকে এইচএসসি ও বিএ ডিগ্রি এবং চট্টগ্রাম টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিএড সম্পন্ন করেন।
তিনি ১৯৬৯ সালে পঞ্চখণ্ড হরগোবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৭০ সালে নারীদের শিক্ষা প্রসারে পাতন-আব্দুল্লাহপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে দীর্ঘদিন লাউতা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষক পদে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের পাশাপাশি জনাব মাহমুদ ছিলেন একজন সংগঠক ও নেতৃত্বদাতা। তিনি “শিক্ষা সোপান” নামক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা, যা অভিন্ন প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে উপজেলার শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাইয়ের কার্যক্রম চালু করে। তিনি শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি, শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি ও পরে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০২ সালে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ভিত্তিক সংগঠন ‘বাংলা’জ হেরিটেজ’-এর উপদেষ্টাও মনোনীত হন।
ব্যক্তিজীবনে তিনি কথাসাহিত্যিক ও মুক্তিযুদ্ধকালীন ‘মুক্তবাংলা’ পত্রিকার সম্পাদক আকাদ্দস সিরাজুল ইসলামের কন্যা সুফিয়া আখতারের সঙ্গে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। মৃত্যুকালে তিনি ৬ ছেলে ও ৫ মেয়ে রেখে গেছেন।
লাউতা উচ্চ বিদ্যালয়সহ তাঁর গড়া প্রতিষ্ঠানগুলোতে আজ দিবসটি স্মরণে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে গভীর শ্রদ্ধার পরিবেশ বিরাজ করছে।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন — আমিন।