প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে পাঁচ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী কৈলাশটিলা গ্যাসফিল্ডে আবারও নতুন গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। দীর্ঘদিন অকার্যকর থাকা ১ নম্বর কূপে ওয়ার্কওভার শেষে নতুন স্তরে গ্যাস পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কূপটি থেকে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
সিলেট গ্যাসফিল্ডের আওতাধীন কৈলাশটিলায় মোট ৯টি কূপ রয়েছে। এর মধ্যে ১ নম্বর কূপে প্রথম গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায় ১৯৬১ সালে। একবার বিরতি দিয়ে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কূপটি সচল ছিল। পরে দেশে পুরোনো কূপগুলোর ওয়ার্কওভার প্রকল্প শুরু হলে সিলেট গ্যাসফিল্ডের ১৪টি কূপের মধ্যে সাতটির কাজ শেষ হয়েছে—এবং সাতটিতেই নতুন গ্যাস মজুদ পাওয়া গেছে।
ওয়ার্কওভার প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম নিশ্চিত করে বলেন, “গ্যাসের মজুদ পাওয়া গেছে। কিছু কারিগরি কাজ বাকি রয়েছে। সেগুলো সম্পন্ন হলে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন।”
বাপেক্স সূত্র জানিয়েছে, প্রায় চার মাস আগে কৈলাশটিলা-১ এ ওয়ার্কওভার শুরু হয়। ২২ হাজার ফুট গভীরে নতুন গ্যাস স্তর শনাক্ত হয়েছে। সব প্রক্রিয়া শেষ হলে দুই–তিন দিনের মধ্যেই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হতে পারে।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রশিদপুর গ্যাসফিল্ডের ৩ নম্বর কূপ থেকে প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হয়। বর্তমানে সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন কূপ থেকে দৈনিক ১১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যাচ্ছে।
গত বছরের অক্টোবর মাসে হরিপুরের ৭ নম্বর কূপে ১,২০০ মিটার গভীরে নতুন গ্যাস স্তর পাওয়া যায়, যেখান থেকে দৈনিক ৭–৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পরীক্ষামূলকভাবে উত্তোলিত হচ্ছে। একই বছরের মে মাসে কৈলাশটিলার ৮ নম্বর কূপেও দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান মেলে।
প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট গ্যাসফিল্ডে একাধিক অনুসন্ধান কূপ ও ওয়ার্কওভার প্রকল্প চলছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, সব কূপে প্রত্যাশিত ফল মিললে এসজিএফএল একাই জাতীয় গ্রিডে প্রতিদিন ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যোগ করতে পারবে।
১৯৫৫ সালে হরিপুরে দেশের প্রথম গ্যাস আবিষ্কার হয়। বর্তমানে এসজিএফএল-এর অধীনে পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে—হরিপুর, রশিদপুর, ছাতক, কৈলাশটিলা ও বিয়ানীবাজার। এর মধ্যে ছাতক গ্যাসফিল্ড বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: আতাউর রহমান
আইন-উপদেষ্টা: ব্যারিস্টার আবুল কালাম চৌধুরী
বানিজ্যিক কার্যালয়: সমবায় মার্কেট, কলেজ রোড,
বিয়ানীবাজার পৌরসভা, সিলেট থেকে প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত।
ই-মেইল: 𝐩𝐚𝐧𝐜𝐡𝐚𝐤𝐡𝐚𝐧𝐝𝐚𝐞𝐲𝐞@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦 মোবাইল নম্বর: ০১৭৯২৫৯৮১২৯