পঞ্চখণ্ড আই ডেস্ক :
তীব্র বিতর্কের মুখে সিলেট ছাড়ছেন বিদায়ী জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ। সাদা পাথর কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে তাকে ওএসডি করা হয়েছে। তবে দায়িত্বকালীন সময়ে বিয়ানীবাজারসহ পূর্ব সিলেটের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
● চারলেন মহাসড়ক প্রকল্পে বাধা
সিলেট-বিয়ানীবাজার-চারখাই-শেওলা মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পটি ২০২৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো ১০ শতাংশ কাজও সম্পন্ন হয়নি। ৪ হাজার ২৫৭ কোটি টাকার এই প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ২ হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে, বাকিটা সরকার বহন করছে।
গত ২৯ এপ্রিল সিলেট জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় চারলেন সড়ক নির্মাণের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। পরে ডিসি মুরাদ ৮ মে এ মতামত মন্ত্রণালয়ে পাঠান। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে চার উপজেলার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। স্থানীয় সংগঠনগুলো দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দেয়।
● সেতু নির্মাণেও টালবাহানা
ডিসি মুরাদের দায়িত্বকালীন সময়ে শিকপুর–বহরগ্রাম সেতুর জমি অধিগ্রহণে অনিয়ম ও টালবাহানার অভিযোগ ওঠে। ফলে সেতুর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। দ্রুত কাজ শুরু করতে স্থানীয়রা আন্দোলনে নামেন। সুজন বিয়ানীবাজার শাখার সভাপতি এডভোকেট আমান উদ্দিনের মতে, এ সেতু বাস্তবায়ন হলে পূর্ব সিলেটের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।
●“সদিচ্ছার অভাবেই বিলম্ব” – স্থানীয়দের অভিযোগ
সিলেট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রকল্প বিলম্বের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতাকে দায়ী করা হলেও স্থানীয় সচেতন নাগরিকদের দাবি, ডিসির সদিচ্ছা থাকলে সমস্যা দ্রুত সমাধান সম্ভব ছিল।
এক বছর আগে ক্রান্তিকালে সিলেটের জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পান মুহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ। দায়িত্বকালে তিনি একাধিকবার বিয়ানীবাজার সফর করেন, তবে উন্নয়ন প্রকল্পে বাস্তব অগ্রগতি হয়নি।
সিলেট জেলা জজ আদালতের আইনজীবী এডভোকেট দেলোওয়ার হোসেন দিলু মন্তব্য করেছেন— “তিনি সিলেট বিদ্বেষী।”
এছাড়া ডিসি মুরাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও উঠেছে বিয়ানীবাজারের সচেতন মহলে।
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: আতাউর রহমান
আইন-উপদেষ্টা: ব্যারিস্টার আবুল কালাম চৌধুরী
বানিজ্যিক কার্যালয়: সমবায় মার্কেট, কলেজ রোড,
বিয়ানীবাজার পৌরসভা, সিলেট থেকে প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত।
ই-মেইল: 𝐩𝐚𝐧𝐜𝐡𝐚𝐤𝐡𝐚𝐧𝐝𝐚𝐞𝐲𝐞@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦 মোবাইল নম্বর: ০১৭৯২৫৯৮১২৯