শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু পাঠদানের কেন্দ্র নয়; এটি সুস্থ-সুন্দর পরিবেশে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তোলার ক্ষেত্র। কিন্তু বিয়ানীবাজারের বালিঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশেই যখন ময়লা-আবর্জনার বিশাল স্তূপ জমে থাকে, তখন প্রশ্ন ওঠে—আমরা কি আমাদের সন্তানদের জন্য সঠিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারছি?
সাংবাদিকদের সরেজমিন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ভয়াবহ এক চিত্র—শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থী প্রতিদিন দুর্গন্ধ ও মশা-মাছির উপদ্রবের মধ্যে পড়াশোনা করছে। এতে তারা শুধু অস্বস্তিতে ভুগছে না, বরং স্বাস্থ্যঝুঁকিতেও রয়েছে। বর্ষাকালে এ সমস্যার তীব্রতা আরও বেড়ে যায়, যা ডেঙ্গু ও অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
এ অবস্থার দায় কেবল অজ্ঞাত সেই মহলের ওপর চাপিয়ে দিলে চলবে না, যারা সচেতনভাবে স্কুলের পাশে আবর্জনা ফেলে। সমানভাবে দায়ী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, যারা বছরের পর বছর এ অবস্থার পরিবর্তনে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। শিক্ষা অফিসও এ বিষয়ে অজ্ঞ থাকার কথা বলে দায় এড়াতে পারে না—কারণ বিদ্যালয়ের সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করা তাদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।
বিষয়টি শুধু একটি স্কুলের নয়; এটি জনস্বাস্থ্য, স্যানিটেশন ও শিক্ষা-পরিবেশ—এই তিনটির সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। অচিরেই ময়লার স্তূপ সরিয়ে যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা করতে হবে। স্থানীয় সরকার ও শিক্ষা প্রশাসনকে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে, যেন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে আর কখনো ময়লার ভাগাড় গড়ে না ওঠে।
আমরা ভুলে যাই না—দুর্গন্ধময় পরিবেশে জ্ঞান বিকশিত হয় না, রোগ-ব্যাধির ছায়াতলে শিক্ষার আলোর প্রদীপ জ্বলে না। উন্নত সমাজ গড়তে হলে শিক্ষাঙ্গনকে আগে পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর করতে হবে। বালিঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা হুঁশিয়ারি হিসেবে নিতে হবে—আজই নয়, এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: আতাউর রহমান
আইন-উপদেষ্টা: ব্যারিস্টার আবুল কালাম চৌধুরী
বানিজ্যিক কার্যালয়: সমবায় মার্কেট, কলেজ রোড,
বিয়ানীবাজার পৌরসভা, সিলেট থেকে প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত।
ই-মেইল: 𝐩𝐚𝐧𝐜𝐡𝐚𝐤𝐡𝐚𝐧𝐝𝐚𝐞𝐲𝐞@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦 মোবাইল নম্বর: ০১৭৯২৫৯৮১২৯