জাতীয় ঐকমত্য গঠনে এগোচ্ছে রাজনৈতিক দলসমূহ: বাস্তবায়নে নির্ধারিত দুই বছরের সময়সীমা
✍️ Π পঞ্চখণ্ড আই প্রতিবেদক
বিরোধ ও মতানৈক্যের মধ্যেও ধাপে ধাপে এগিয়ে চলেছে ঐতিহাসিক জুলাই সনদ। জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের দুই বছরের মধ্যে ‘ঐতিহাসিক জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী গণআন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে ঘোষিত এই সনদের সংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি জোরদার হচ্ছে প্রতিদিন।পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ধাপ—সকল দলের লিখিত প্রতিক্রিয়া গ্রহণ করে চূড়ান্ত প্রস্তাবনার কাজ চলছে।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ধারাবাহিক আলোচনার ভিত্তিতে এখন পর্যন্ত ১২টি বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যদিও দু'টি বিষয়ে ‘নোট অফ ডিসেন্ট’ রয়েছে। অন্যদিকে, কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বিরোধের মধ্যেও সমঝোতার পথ খুঁজে নিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শেষে কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ সাংবাদিকদের জানান,
“পর্যবেক্ষণের জন্য জুলাই সনদের খসড়া সকল রাজনৈতিক দলের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুরোধ করেছি, যদি কোনো সুপারিশ, পরামর্শ বা পরিবর্তনের প্রস্তাব থাকে, তা ৩০ জুলাই দুপুর ১২টার মধ্যে জানাতে হবে।”
এই সময়সীমার মধ্যে মতামত দিলে তা খসড়ার চূড়ান্তকরণে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কমিশনের ২০তম বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণঅধিকার পরিষদসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অংশ নেন। বৈঠকের আলোচ্য বিষয় ছিল: সরকারি কর্ম কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক ন্যায়পাল নিয়োগ ও নারীর প্রতিনিধিত্ব
বিএনপি আলোচনার শুরুতেই ওয়াকআউট করলেও পরে আলোচনায় যোগ দেয়। তারা জোর দিয়ে বলে, নির্বাহী বিভাগকে কর্তৃত্বহীন রেখে কেবল জবাবদিহির কাঠামো টিকিয়ে রাখা বাস্তবসম্মত নয়।
জামায়াতে ইসলামী দাবি করে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহ যথেষ্ট স্বাধীন এবং সেখানে সরকারি হস্তক্ষেপের কোনো আইনি সুযোগ নেই। তারা গোপন নয়, ওপেন ব্যালটে র্যাংক চয়েস প্রক্রিয়ায় ভোট দেওয়ার প্রস্তাব দেয়।
বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক কাঠামোর প্রশ্নে ত্রয়োদশ সংশোধনীতে ফিরতে চাইলেও রাষ্ট্রপতির নিরপেক্ষতা নিয়ে আপত্তি জানায়। তাদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব— প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ ১০ বছর—কমিশনে গৃহীত হয়েছে।
কমিশনের পক্ষে ড. আলী রীয়াজ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন,
“আলোচনার ভিত্তিতে আমরা যেখানে পৌঁছেছি, তা একটি বড় অগ্রগতি। রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শ পাওয়ার পরেই আমরা চূড়ান্ত খসড়ায় যাব।”
সংকলন Π আতাউর রহমান
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: আতাউর রহমান
আইন-উপদেষ্টা: ব্যারিস্টার আবুল কালাম চৌধুরী
বানিজ্যিক কার্যালয়: সমবায় মার্কেট, কলেজ রোড,
বিয়ানীবাজার পৌরসভা, সিলেট থেকে প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত।
ই-মেইল: 𝐩𝐚𝐧𝐜𝐡𝐚𝐤𝐡𝐚𝐧𝐝𝐚𝐞𝐲𝐞@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦 মোবাইল নম্বর: ০১৭৯২৫৯৮১২৯