সম্পাদকীয় |
এই তথ্য শুধু একটি বাস্তব চিত্র নয়, বরং বিয়ানীবাজারবাসীর দীর্ঘ বছরের হতাশার মূর্ত প্রতিচ্ছবি। যেখানে গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে, সেই এলাকাতেই পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ না থাকা নিছক অবহেলা নয়—এটা একপ্রকার ন্যায়বিচারের সংকট।
বিয়ানীবাজার—যেখানে গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ হচ্ছে লক্ষ লক্ষ ঘনফুট গ্যাস, অথচ এখানকার বাসিন্দারা আজও গৃহস্থালির জন্য পাইপলাইন গ্যাসের মুখ দেখেননি। এটা নিছক অব্যবস্থাপনা নয়, বরং একপ্রকার উন্নয়ন বৈষম্য।
এই জনপদের মানুষ প্রায় চার দশক ধরে গ্যাসক্ষেত্রের অস্তিত্ব সহ্য করে চলেছেন—বিষ্ফোরণের শঙ্কা, পরিবেশগত ঝুঁকি, জমি হারানোসহ নানা বাস্তবতার মধ্য দিয়ে। বিনিময়ে তারা চেয়েছিল শুধু একটি মৌলিক সুবিধা—নিজেদের উৎপাদিত সম্পদের ন্যায্য অংশ।
২০১২ সালে আন্দোলন, বিক্ষোভ, মানববন্ধন—সবই হয়েছে। এরপরও গ্যাস আসে না। অথচ গ্যাসক্ষেত্র থেকে দৈনিক ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাহলে প্রশ্ন জাগে—এই গ্যাস কাদের জন্য?
শিল্পের সম্ভাবনা এখানে স্পষ্ট, ব্যবসায়িক উদ্যোগে প্রাণ আসতে পারত। কিন্তু গ্যাস না থাকায় এখানে শিল্প স্থাপনের পরিবেশ নেই, পরিবারে রান্না চলে সিলিন্ডার গ্যাসে। আবার অনেক গ্রাহক আজও অপেক্ষা করছেন সংযোগের তালিকায় নাম ওঠানোর।
গণমানুষের স্বার্থে সরকারকে এখনই স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে হবে। স্থানীয় জনগণের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটাতে হবে সুসংগঠিত পরিকল্পনায়। বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড থেকে শুধু গ্যাস নয়, ন্যায়বিচারও যেন উঠে আসে জাতীয় নীতিনির্ধারকদের বিবেচনায়—এটাই এখন সময়ের দাবি।
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: আতাউর রহমান
আইন-উপদেষ্টা: ব্যারিস্টার আবুল কালাম চৌধুরী
বানিজ্যিক কার্যালয়: সমবায় মার্কেট, কলেজ রোড,
বিয়ানীবাজার পৌরসভা, সিলেট থেকে প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত।
ই-মেইল: 𝐩𝐚𝐧𝐜𝐡𝐚𝐤𝐡𝐚𝐧𝐝𝐚𝐞𝐲𝐞@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦 মোবাইল নম্বর: ০১৭৯২৫৯৮১২৯