পঞ্চখণ্ড আই ডেস্ক : আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অরুণাচল প্রদেশের মায়ানমার সীমান্ত। শুক্রবার (৬ জুন) থেকে টানা দফায় দফায় গুলির লড়াইয়ে অন্তত দু’জন এনএসসিএন (খাপলাং-ইউংআং) গোষ্ঠীর বিদ্রোহীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
সেনা সূত্রে জানা গেছে, অরুণাচলের লংডিং জেলার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে নিয়মিত টহলের সময় যৌথ বাহিনী — সেনা ও আসাম রাইফেল্স — হঠাৎ করে হামলার মুখে পড়ে। এরপর দ্রুত এলাকায় অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানো হয় এবং পাল্টা অভিযানে নিহত হয় দুই বিদ্রোহী। ভারতীয় সেনাদের দাবি, গুলির লড়াইয়ের পর নিহতদের দেহ ফেলে পালিয়ে যায় অন্য বিদ্রোহীরা।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একে-৪৭ ও এম-৪ মডেলের আধুনিক স্বয়ংক্রিয় রাইফেল এবং একটি গ্রেনেড লঞ্চার।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য নাগাল্যান্ড, মণিপুর ও অরুণাচলের সঙ্গে মায়ানমারের রয়েছে প্রায় ১৬৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত। এর মধ্যে অরুণাচল-মায়ানমার সীমান্ত প্রায় ৫০০ কিলোমিটার। মায়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধ ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় এই সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর তৎপরতা বাড়তে থাকায় নজরদারি আরও জোরদার করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
প্রসঙ্গত, নাগাল্যান্ড ও মণিপুরে সক্রিয় এনএসসিএন (আইএম) গোষ্ঠীর সঙ্গে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সংঘর্ষবিরতি চুক্তি বহাল রয়েছে। তবে মায়ানমার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সক্রিয় এনএসসিএন (খাপলাং) গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা বিগত কয়েক বছর ধরেই নিয়মিত হয়ে উঠেছে।
উল্লেখযোগ্য, ২০১৭ সালে সংগঠনটির প্রধান এসএস খাপলাং মায়ানমারে মৃত্যুবরণ করেন। এরপর গোষ্ঠীটি বিভক্ত হয়ে বেশ কয়েকটি শাখায় রূপ নেয়, যার মধ্যে অন্যতম হলো ইউংআং নেতৃত্বাধীন বর্তমান সক্রিয় অংশটি।
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: আতাউর রহমান
আইন-উপদেষ্টা: ব্যারিস্টার আবুল কালাম চৌধুরী
বানিজ্যিক কার্যালয়: সমবায় মার্কেট, কলেজ রোড,
বিয়ানীবাজার পৌরসভা, সিলেট থেকে প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত।
ই-মেইল: 𝐩𝐚𝐧𝐜𝐡𝐚𝐤𝐡𝐚𝐧𝐝𝐚𝐞𝐲𝐞@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦 মোবাইল নম্বর: ০১৭৯২৫৯৮১২৯