🖋️ সম্পাদকীয়:
৩১ মে ২০২৫, শনিবার। বিয়ানীবাজার পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র দক্ষিণ বাজার সিএনজি স্ট্যান্ডের সামনে ঘটে গেল এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স ভর্তি পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে একটি কভারভ্যান ও নম্বরবিহীন জিক্সার মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন ১৯ বছরের এক শিক্ষার্থী সুহেনা আক্তার। জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময়টিতে এসে, স্বপ্ন দেখা শেষও হয়নি—তার আগেই থেমে গেল জীবনের গতি।
এই মৃত্যুকে আমরা কি শুধুই দুর্ঘটনা বলে পাশ কাটিয়ে যাব? নাকি এটাকে দেখতে হবে আমাদের ব্যর্থ ব্যবস্থাপনার, আইন-শৃঙ্খলার শৈথিল্য এবং রাস্তাঘাটে অনিরাপত্তার একটি করুণ প্রতিফলন হিসেবে?
নম্বরবিহীন বাইক! বেপরোয়া কভারভ্যান! অব্যবস্থাপনার কারণে প্রতিদিন দেশের কোনো না কোনো প্রান্তে প্রাণ যাচ্ছে। এসব কি আমাদের টলাতে পারে না? ঘাতক যান দুটি আটক হয়েছে—তবে তার চেয়েও বড় প্রশ্ন: সড়ক নিরাপত্তায় নিয়মিত ও কার্যকর পদক্ষেপ কি আদৌ গ্রহণ করা হচ্ছে?
আমরা জোরালোভাবে বলতে চাই—
★দক্ষিণ বিয়ানীবাজারসহ পৌর এলাকার ব্যস্ত সড়কগুলোতে চিহ্নিত জেব্রাক্রসিং, গতিনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, এবং সতর্কতামূলক চিহ্ন জরুরি ভিত্তিতে স্থাপন করতে হবে।
★নম্বরবিহীন ও অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে।
★শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও জনবহুল এলাকায় নিয়মিত ট্রাফিক নজরদারি ও ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করতে হবে।
★প্রতিটি দুর্ঘটনার পর ‘তদন্তাধীন’ শব্দটি যেন দায়মুক্তির ঢাল না হয়।
সুহেনা একজন ব্যক্তি নন কেবল; তিনি হাজারো সম্ভাবনার প্রতীক, যাকে আমরা হারিয়েছি আমাদের যৌথ দায়হীনতার কারণে।
পঞ্চখণ্ড আই. কম অনলাইন পোর্টাল-এর পক্ষ থেকে আমরা তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানাই এবং একইসাথে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই, যেন এই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত হয় এবং ভবিষ্যতের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
আর একটি নিরাপদ সড়ক চাই—শুধু কথায় নয়, বাস্তবতায় পূর্ণতা লাভ করুক।
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: আতাউর রহমান
আইন-উপদেষ্টা: ব্যারিস্টার আবুল কালাম চৌধুরী
বানিজ্যিক কার্যালয়: সমবায় মার্কেট, কলেজ রোড,
বিয়ানীবাজার পৌরসভা, সিলেট থেকে প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত।
ই-মেইল: 𝐩𝐚𝐧𝐜𝐡𝐚𝐤𝐡𝐚𝐧𝐝𝐚𝐞𝐲𝐞@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦 মোবাইল নম্বর: ০১৭৯২৫৯৮১২৯