পঞ্চখণ্ড আই ডেস্ক :
বিয়ানীবাজারে জুলাই-আগস্ট মাসের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিতে নিহত তিন জনের হত্যাকাণ্ড নিয়ে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর তদন্তে অগ্রগতি থাকলেও এখনও কোনো মামলারই হয়নি ময়নাতদন্ত। এতে তদন্তে জটিলতা সৃষ্টি হলেও মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য বিকল্প উপায়ে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বিয়ানীবাজার পৌর এলাকায় বিজয় মিছিলে গুলিতে নিহত হন তিন যুবক তারেক আহমদ, রায়হান আহমদ ও ময়নুল ইসলাম। পরদিন ৬ আগস্ট পরিবারের আবেগ-অনুভূতির কারণে কোনো ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের দাফন করা হয়।
Π পরিবারের বাধায় থমকে যায় ময়নাতদন্ত
তারেক আহমদের হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, বিয়ানীবাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো: ছবেদ আলী বলেন, "স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় লাশ উত্তোলনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও স্বজনরা বাধা দেন। তাই ময়নাতদন্ত সম্ভব হয়নি। তবে অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করে তদন্ত চলছে।"
একই রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে নিহত রায়হান আহমদের পরিবার থেকেও। তার এক স্বজন জানান, "ঘটনার ভিডিও, ছবি, প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানসহ নানা তথ্য-প্রমাণ আমাদের হাতে আছে। লাশ তুলে ময়নাতদন্ত করানোর প্রয়োজন নেই মনে করেই পুলিশকে অনুরোধ করা হয়েছে। আমরা শুধু ন্যায়বিচার চাই।"
Π তদন্তে বিকল্প তথ্যের ওপর জোর
তিনটি মামলার মধ্যে দুটি তদন্ত করছে সিলেট সিআইডি এবং একটি তদন্ত করছে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ। সিআইডির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, "ময়নাতদন্ত ছাড়া সরাসরি অভিযুক্ত করা কঠিন। তবে অন্যান্য ফরেনসিক ও সাক্ষ্য-প্রমাণ ব্যবহার করে তদন্ত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।"
Π আইনি দৃষ্টিকোণ: ময়নাতদন্ত ছাড়াও বিচার সম্ভব
সিলেট জেলা জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো: আমান উদ্দিন বলেন, "হত্যা মামলায় ময়নাতদন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলেও এটি অপরিহার্য নয়। যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ থাকলে ময়নাতদন্ত ছাড়াও বিচার সম্ভব।" তিনি আরও বলেন, "ময়নাতদন্ত মূলত মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ জানার উপায়। কিন্তু ভিডিও ফুটেজ, প্রত্যক্ষদর্শীর জবানবন্দি ও ফরেনসিক আলামত থাকলে সেগুলোর ভিত্তিতেই মামলার রায় হতে পারে।"
এদিকে ময়নাতদন্ত না করায় তদন্তে কিছুটা জটিলতা তৈরি হলেও বিচারকাজ থেমে নেই। তদন্ত সংস্থাগুলো মামলার ন্যায়বিচার নিশ্চিতে অন্যান্য তথ্য ও আলামতের ভিত্তিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পরিবারগুলোও দ্রুত এবং সঠিক বিচারের প্রত্যাশায় অপেক্ষা করছে।
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: আতাউর রহমান
আইন-উপদেষ্টা: ব্যারিস্টার আবুল কালাম চৌধুরী
বানিজ্যিক কার্যালয়: সমবায় মার্কেট, কলেজ রোড,
বিয়ানীবাজার পৌরসভা, সিলেট থেকে প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত।
ই-মেইল: 𝐩𝐚𝐧𝐜𝐡𝐚𝐤𝐡𝐚𝐧𝐝𝐚𝐞𝐲𝐞@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦 মোবাইল নম্বর: ০১৭৯২৫৯৮১২৯