পঞ্চখণ্ড আই প্রতিবেদক:
“আমি বিএনপি করি—এই পরিচয় কি আমার অপরাধ?” এমন প্রশ্ন তুলে অ্যাডভোকেট আহমদ রেজা, একজন প্রবীণ আইনজীবী ও ব্যবসায়ী, অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে তাঁর প্রতিষ্ঠিত কোটি টাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
গত ৩০ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়কে ব্যবহার করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাঁকে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।
অ্যাডভোকেট আহমদ রেজা, যিনি জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখার সভাপতি, দীর্ঘ ২৪ বছর যাবৎ সততার সঙ্গে ব্যবসা করে আসছেন এবং প্রায় এক দশক ধরে পেশাগতভাবে আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তাঁর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান “জালালাবাদ ফার্নিচার” ৫ বছর আগে স্থাপিত হয় এবং এর চুক্তির মেয়াদ ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। তাঁর দাবি, দোকান মালিক সাইফুল হক বদরুল (গোলাপগঞ্জ) এর সঙ্গে পূর্বে আলোচনা অনুযায়ী নতুন চুক্তি নবায়নের সিদ্ধান্ত হয় এবং জামানতের অর্থও অগ্রিম জমা দেওয়া হয়।
কিন্তু হঠাৎ করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দোকান খালি করার নির্দেশ দিয়ে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়, যা তিনি বেআইনী ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে জানান, বিষয়টি মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ আহমদ চৌধুরী-কে জানানো হয়েছিল এবং তিনিও দোকান মালিকের সঙ্গে আলোচনা করেন।
পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে রেন্ট কন্ট্রোল কোর্টে মামলা দায়ের করে তিনি দোকানের ভাড়া যথাসময়ে কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী পরিশোধ করে আসছেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, গত রাতে (২৯ এপ্রিল) একটি ষড়যন্ত্রমূলক ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক সুনাম বিনষ্টের চেষ্টা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।
অ্যাডভোকেট আহমদ রেজা বলেন, “আমি রাজনৈতিকভাবে পরাস্ত না হওয়ায় একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্রে নেমেছে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আইনের শাসন এবং সত্যের জয় হবেই ইনশাআল্লাহ।”
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: আতাউর রহমান
আইন-উপদেষ্টা: ব্যারিস্টার আবুল কালাম চৌধুরী
বানিজ্যিক কার্যালয়: সমবায় মার্কেট, কলেজ রোড,
বিয়ানীবাজার পৌরসভা, সিলেট থেকে প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত।
ই-মেইল: 𝐩𝐚𝐧𝐜𝐡𝐚𝐤𝐡𝐚𝐧𝐝𝐚𝐞𝐲𝐞@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦 মোবাইল নম্বর: ০১৭৯২৫৯৮১২৯