বিয়ানীবাজার উপজেলাজুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের পদত্যাগ সহ নানাতক দাবিতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। উপজেলার সালেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়, পূর্ব মুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও চারখাই উচ্চ বিদ্যালয়, মাথিউরা সিনিয়র মাদ্রাসা-সহ ভেতরে ভেতরে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে পদত্যাগ মহড়ার আগুন জ্বলছে।
এদিকে পূর্ব মুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে সোমবার (২সেপ্টেম্বর) বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। চারখাই উচ্চ বিদ্যালয়ের বিরোধ পুরনো। পত্রিকা সংবাদ নিয়ে এলাকায় আলোচনা সমালোচনা চলছে। তবে স্কুলের পরিস্থিতি অশান্ত হয়নি।
এদিকে বিয়ানীবাজার পৌর শহরসহ বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্যালয়ের যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবং শিক্ষকদের সাথে অশোভন আচরণ না করতেও অনুরোধ জানিয়েছেন।
কোন কোন এলাকায় দেশের চলমান ঘটনার স্রোতে গা ভাসিয়ে তিলকে তাল বানিয়ে শিক্ষকদের সাথে বেয়াদবি করার অজুহাত খুজছে কিছু স্বার্থান্বেষী লোক। বিজ্ঞজনের মত, এভাবে কাউকে অসম্মান করার অধিকারটা কারো নেই। শিক্ষকরা মা-বাবার মতো এবং পুজনীয় সেটা মাথায় রেখে সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
জানা যায়, বিগত কয়েকদিন থেকে বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব মুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ১৯টি অভিযোগে তার পদত্যাগের দাবী করে আসছিল শিক্ষার্থীর। পরবর্তীতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এলাকার বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক শেষে সমঝোতায় পৌছান সবাই। তারই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার সকালে লিখিত সমঝোতাপত্রে স্বাক্ষর করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, অভিভবাবক কমিটির সকল সদস্য এবং সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু তাতে বাঁধ সাজেন বিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষকরা। তারা সমঝোতা পত্রে স্বাক্ষর করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
এ ঘটনায় এলাকার জনহিতৈষী ও বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাদের সমঝোতা স্বারকের প্রতি শিক্ষকদের অপারগতা সুলভ আচরণে ফের উত্তেজনা দেখা দেয়। তখন উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহায়কের কার্যালয়ের গ্লাস ভাঙ্গচুর করে। এ সময় বিদ্যালয়ের দশাধিক শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়াছে। তন্মধ্যে মেয়ে সহ ৫ শিক্ষার্থীকে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও গুরুতর আহত ২ জনকে সিলেট প্রেরণ করা হয়েছে।
মুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ আল মামুন জানান, সমঝোতায় বাঁধা পড়ায় পরিস্থিতি আবারো অশান্ত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আহত হয়েছে। এলাকার স্বার্থে বিষয়টি আন্তরিকভাবে সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী শামিম বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সালেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ফিরেছেন। পূর্ব মুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়েও সকলের সহযোগিতায় শিক্ষাঙ্গনে পাঠদানের পরিবেশ ফিরে আসবে।
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: আতাউর রহমান
আইন-উপদেষ্টা: ব্যারিস্টার আবুল কালাম চৌধুরী
বানিজ্যিক কার্যালয়: সমবায় মার্কেট, কলেজ রোড,
বিয়ানীবাজার পৌরসভা, সিলেট থেকে প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত।
ই-মেইল: 𝐩𝐚𝐧𝐜𝐡𝐚𝐤𝐡𝐚𝐧𝐝𝐚𝐞𝐲𝐞@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦 মোবাইল নম্বর: ০১৭৯২৫৯৮১২৯