সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শেষ চমক হয়ে ফিরেছেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারর্সন শমসের মবিন চৌধুরী, বীরবিক্রম। প্রথমদিকে সোনালী আঁশ মার্কার প্রার্থী সুবিধা করতে না পারলেও শেষ মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ফিরেছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী প্রসঙ্গে শমসের মবিন প্রশাসনের উদ্যোগের প্রশংসা করে নতুন ভোটারদের প্রতি ভোট দেওয়ার জন্য বিশেষ আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রতিদিনই আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশ তার পক্ষে প্রচারে অংশ নিচ্ছেন। শুধু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাই নয়, সাধারণ ভোটাররাও প্রতিদিন সোনালি আঁশের পক্ষে মাঠে ঘাটে কাজ করছেন।
শমসের মবিনের দাবি, সিলেট-৬ আসনে মূল চার প্রার্থীর তিনজনের বাড়ি বিয়ানীবাজার থাকায় গোলাপগঞ্জ উপজেলার একক প্রার্থী হিসেবে আমার (শমসের মবিন চৌধুরী) পক্ষে গোলাপগঞ্জ উপজেলার সাধারণ ভোটাররা একাট্টা হয়ে মাঠে কাজ করছেন।
শমসের মবিন চৌধুরী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বিভিন্ন সরকারের আমলে তিনি দেশের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আশাবাদী, তার প্রতি গোলাপগঞ্জবাসীর আলাদা ভালোবাসা রয়েছে। এছাড়া তেত্রিশ বছর এই এলাকায় তেমন উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়নি। এবার গোলাপগঞ্জ উপজেলার সাধারণ ভোটাররা আমার (শমসের মবিন) মাধ্যমে উন্নয়ন চায়।
গত মঙ্গলবার গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকা, উপজেলার ভাদেশ্বর, ফুলবাড়ি, লক্ষীপাশা ইউনিয়নে শমসের মবিন চৌধুরীর পক্ষে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুর কাদির চৌধুরী এলিম, গোলাপগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রুয়েল আহমদ, আওয়ামী লীগ নেতা হাসিন আহমদ মিন্টু, খায়রুল হক, কাউন্সিলর রুহিন আহমদ খান, মোবিন আহমদ জায়গীরদার প্রমুখ।
গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মঞ্জুর শাফি চৌধুরী এলিম বলেন, এলাকার মানুষ এইবার একজন যোগ্য মানুষকে সংসদে পাঠাবে। শেষ মুহূর্তে এসে শমসের মবিন চৌধুরীর পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপার্সন শমসের মুবিন চৌধুরী (সোনালী আঁশ) বলেন, আমি ঘরে ঘরে যাচ্ছি, যেখানেই যাচ্ছি ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। তরুণ প্রজন্মের হাতে দেশ। এ তরুণ প্রজন্ম একজন মুক্তিযোদ্ধাকে বেছে নিবে বলে আশা করি। তিনি আরো বলেন, ভোটের পরিবেশ খুবই ভালো। স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ ভোট হলে আমার বিজয় অবশ্যই হবে।